তৃণমূল কর্মী খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ৪ বিজেপি কর্মী। ওই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। হুগলির খানাকুলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খানাকুলের নতীবপুর তৃণমূল কর্মীর পিটিয়ে খুন করার ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে হেফাজতে নিয়েছে। এই ব্যাপারে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমানদীপ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, পুলিশের তরফ থেকে তদন্ত চলছে।
এই ঘটনার পর হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব এবং জেলা বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন।
দিলীপ যাদবের বক্তব্য, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু'হাত তুলে দিয়ে আশীর্বাদ দিয়েছে। সেটা আরামবাগ, খানাকুল এ বিজেপি নেতাদের গ্রহণ হয়নি।
তাঁর দাবি, সেই জন্য তারা মানুষকে সন্ত্রস্ত, ভয় দেখানোর জন্য হিংসার পথ বেছে নিয়েছেন।তিনি জানান, আমাদের তরফ থেকে পুলিশকে বলা হয়েছে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে।
দিলীপ যাদবের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু এই মৃত্যুকে নিয়ে রাজনীতি জড়ানো ঠিক নয়।
তাঁর দাবি, খানাকুলের নতিবপুরে দেবু প্রমানিক কিছু মানুষের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। নিজেদের মধ্যে ঠেলাঠেলিতে দুর্ভাগ্যবশত তাঁর মৃত্যু হয়। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি তৃণমূলের বিরুদ্ধে একজন মানুষের মৃত্যু নিয়ে নোংরা রাজনীতি করার অভিযোগ করেন।
এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক গোলমালের ঘটনা ঘটছে। কলকাতা, হুগলি- বাদ যায়নি কোথাও। এমন আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন বিরোধী দলের নেতারা।
কোথাও কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীর বাড়িতে চড়াও হওয়ার ঘটনা। তো আবার কোথাও বাড়ি ভাঙচুর, পার্টি অফিস ভাঙচুর, লুটপাট করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর, কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার বামফ্রন্ট সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার আবেদন করেছিলেন। একই আবেদন করেছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
তবে দেখা যাচ্ছে তাদের আশঙ্কা সত্যি হল। কলকাতায় এক বিজেপি কর্মীর পাথর মেরে খুন করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। নিহতের নাম অভিজিৎ সরকার। বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যক্তির তাদের দলের কর্মী। বেলেঘাটায় থাকেন।