Advertisement

পর পর সভায় বিশৃঙ্খলা, প্রাণনাশের আশঙ্কায় আদালতে শুভেন্দু,'লড়াই শক্ত' বুঝছেন তিনি?

দীর্ঘ জল্পনার শেষে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। তখনই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়, এবার শাসক থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে কতটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন শুভেন্দু!

শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল ছবি
শুভম মুখোপাধ্যায়
  • কলকাতা,
  • 14 Jan 2021,
  • अपडेटेड 12:26 PM IST
  • একের পর এক সভায় বিশৃঙ্খলা
  • প্রাণনাশের আশঙ্কায় আদালতে শুভেন্দু
  • তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী

দীর্ঘ জল্পনার শেষে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। তখনই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়, এবার শাসক থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে কতটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন শুভেন্দু! গত বেশ কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন শুভেন্দু। কখনও তার সভা চলাকালীন বিশৃঙ্খলা চলছে, কখনওবা দলীয় সভাতেই ঢুকে পড়ছে গাড়ি। সব দেখে পুরনো দল তৃণমূলের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছেন তিনি। 

সভায় বিশৃঙ্খলা 

পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার পরে প্রথমবার বিজেপির ব্যানারে নন্দীগ্রামে বিরাট জনসভা আয়োজন করেছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই সভা মাঝপথেই তাল কাটে। স্লোগানবাজি থেকে শুরু করে ঢিল ছোঁড়া অনেক কিছুই চলতে থাকে। অবস্থা এমন হয় যে, কৈলাস-মুকুল-দিলীপ ওই সভা বক্তব্য রাখলেও, শুভেন্দু নিজেরই বক্তব্য রাখতে পারেননি। তিনি আগেই সভা শেষ করে দেন। পুরো ঘটনাতে বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পুরুলিয়াতে শুভেন্দুর সভায় ফের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। দলীয় সভা চলাকালীন একটি গা়ড়ি ঢুকে যায়। তারপরেই শুরু হয় হই হট্টগোল। কোনও মতে পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে হয়। শুধু তাই নয়, শুভেন্দুর সভায় যোগ দিতেই আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর সমর্থকরাও। 

আরও পড়ুন, বারবার র‌্যালিতে হামলা! সভায় পুলিশি নিরাপত্তা বাড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

হাইকোর্টে শুভেন্দু

পুরো বিষয়টি নিয়ে অবশ্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে,সভায় ইচ্ছা করে অশান্তি করার ছক করা হচ্ছে। জনসভাগুলি আসা ও যাওয়ার পথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার জন্য। দায়ের করা মামলায় নিজের প্রাণনাশেরও আশঙ্কা করেছেন এই বিজেপি নেতা। বলে রাখা ভালো, তৃণমূল ত্যাগের সময়ে রাজ্য সরকারের সমস্ত নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেয়। বিজেপিতে আসার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রাণনাশের আশঙ্কা করলেন মেদিনীপুরের এই দাপুটে নেতা। 

Advertisement

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর বিজেপিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত অনেকটাই চ্যালেঞ্জের। টানা ১০ বছর সরকারে থাকার পরে এখন তিনি বিরোধীর রাজনীতিবিদ। আগামীদিনে এই সমস্যা শুভেন্দু কীভাবে মোকাবিলা করেন, সেটাই এখন দেখার।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement