ভোট আর কেশপুরে অশান্তি হবে না তা যেন হতেই পারে না। বৃহস্পতিবার ভোট শুরুর আগেই রক্ত ঝরেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের এই জনপদে। তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। কাঠগড়ায় স্বভাবতই বিজেপি। আর এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভোট শুরুর পর আক্রান্ত বিজেপির মহিলা এজেন্ট। হামলা হয় বিজেপি প্রার্থীর ওপরও।
এদিন ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরেই কেশপুরের মহিষদা এলাকাতে ১০ নম্বর অঞ্চলের গরবোজপোতা বিজেপির মহিলা এজেন্টকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।
কেবল দলের মহিলা এজেন্টের ওপরেই হামলা নয় ভোটের দিন গেরুয়া শিবিরের এক নেতার গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি ও বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট তন্ময় ঘোষের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনাতেও তৃণমূলের দিকেই উঠেছে অভিযোগের তির।
কেশপুরে রক্ষা পাননি বিজেপি প্রার্থীও। এলাকায় ছাপ্পা ভোট চলছে এই খবর পেয়ে পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন কেশপুরের বিজেপি প্রার্থী পৃথ্বীশরঞ্জন কুয়ার। অভিযোগ গুনহারাকে তার গাড়িতে ইট, বাঁশ নিয়ে হামলা চালান হয়। প্রহৃত হন খোদ বিজেপি প্রার্থী পৃথ্বীশরঞ্জন কুয়ারও। ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই উঠেছে অভিযোগের তির। ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান হয়েছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
জঙ্গলমহলের একটি বহুচর্চিত কেন্দ্র হল কেশপুর। এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শিউলি সাহা। বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন পৃথ্বীশরঞ্জন কুয়ার। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন সিপিএমের রামেশ্বর দলুই। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সাহা। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৪৬,৫৭৯৷