Advertisement

ফ্যাক্ট চেক: পঞ্জাবে হিন্দু সাংবাদিককে পুলিশি মারধরের ভিডিও ভারতে মুসলিম হত্যার দাবিতে প্রচার  

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে ভারতে মুসলিম হত্যার কোনও সম্পর্ক নেই। ভিডিওতে নিগৃহীত ব্যক্তি একজন হিন্দু এবং তিনি বেঁচেও রয়েছেন।

ঋদ্ধীশ দত্ত
  • 09 Aug 2025,
  • अपडेटेड 12:28 PM IST

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি সিসিটিভি ফুটেজের আকারে ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওতে পুলিশের উর্দিতে থাকা এক ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে আরেকজনকে ধরে আনতে এবং এরপর রাস্তায় ফেলে নির্মমভাবে মারধর করতে। 

ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে ভারতে ঘটা এই ঘটনায় একজন মুসলিম ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "আহ ভারতে মুসলিম হত্যা কতই না সহজ।" 

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে ভারতে মুসলিম হত্যার কোনও সম্পর্ক নেই। ভিডিওতে নিগৃহীত ব্যক্তি একজন হিন্দু এবং তিনি বেঁচেও রয়েছেন।

আরও পড়ুন

সত্য উন্মোচন হলো যেভাবে 

ভাইরাল ভিডিওটি থেকে স্ক্রিনশট সংগ্রহ করে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে খোঁজা হলে ওই একই ভিডিও-র স্ক্রিনশট একাধিক সংবাদ প্রতিবেদনে পাওয়া যায়। যেমন গত ৭ অগস্ট প্রকাশিত টাইমস অব ইন্ডিয়া, ও নিউজ ১৮-এর খবরে লেখা হয়, এই ঘটনাটি পঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার বটালা শহরের। 

সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, পঞ্জাবের বটালা শহরে বলভিন্দর কুমার ভল্লা নামের এক সাংবাদিককে দু'জন পুলিশ দ্বারা মারধরের এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। খবর অনুযায়ী, ডেরা রোড নামক এলাকায় সাব ইন্সপেক্টর মনদীপ সিং এবং সুরজিৎ সিং প্রকাশ্য দিবালোকে এক সাংবাদিককে মারধর করেন। নিউজ ১৮-এর খবরে নিগৃহীত সাংবাদিকের নাম বলভিন্দর কুমার ভল্লা লেখা হলেও টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে ওই সাংবাদিকের নাম বলভিন্দর সিং হিসেবে উল্লেখ করা হয়। 

৯ অগস্ট প্রকাশিত হিন্দুস্তান টাইমসের একটি খবর অনুযায়ী, সাংবাদিক নিগৃহে অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মী এই ঘটনার পর সাসপেন্ড করা হয়। পঞ্জাব পুলিশের ডেপুটি সুপার সঞ্জীব কুমার জানান যে ঘটনাটি ১ অগস্ট ঘটেছিল। পরবর্তী সময় ওই নিগৃহীত সাংবাদিক একটি এআইআর রুজু করেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে পঞ্চম ব্যাটালিয়নের এই দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়। 

Advertisement

পুলিশ আধিকারিকরা কেন এই সাংবাদিককে মারধর করলেন এই প্রশ্নের উত্তরে ডেপুটি সুপার সঞ্জীব কুমার বলেন, "দুই পুলিশকর্তা কিছু দায়িত্ব পালনের জন্য বাটালায় এসেছিলেন এবং এখানে একটি হোটেলে তারা ছিলেন। ওই সাংবাদিক তাদের কাছে গিয়ে বাটালায় তাদের কর্তব্য সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেন। হঠাৎ কিছু উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয় যার পরে ঘটনাটি (হামলার) ঘটে।" 

নিগৃহীত সাংবাদিকের আসল নাম কী এবং তিনি হিন্দু নাকি শিখ ধর্মাবলম্বী সেই বিষয়ে নিশ্চিত হবে আমরা আজতকের গুরুদাসপুর জেলার সংবাদদাতা বিশ্বম্ভর বিট্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাদের নিশ্চিত করেন যে ওই সাংবাদিকের আসল নাম বলভিন্দর কুমার ভল্লা এবং তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী। 

ফলে সব মিলিয়ে বলাই যায় যে পঞ্জাবে এক হিন্দু সাংবাদিককে পুলিশ দ্বারা নিগৃহের ভিডিও ভুয়ো সাম্প্রদায়িক দাবিতে শেয়ার করা হচ্ছে। 

Fact Check

Claim

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কীভাবে ভারতে একজন মুসলিমকে হত্যা করা হচ্ছে। 

Conclusion

ভিডিওতে দেখা যাওয়া ঘটনাটি গত ১ অগস্ট পঞ্জাবের বাটালা শহরে ঘটেছিল। বলভিন্দর কুমার ভল্লা নামের এক সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় সাব ইন্সপেক্টর মনদীপ সিং এবং সুরজিৎ সিংকে। 

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  1. কাক: অর্ধসত্য
  2. একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  3. অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Do you think a messenge is a fake ?
To know the truth, send that to our Number73 7000 7000 you can email on factcheck@intoday.com
Read more!
Advertisement
Advertisement