BJP-র পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস পালন দিবস ঘিরে ধুন্ধুমার। বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে দিলীপ ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদারদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এমনকী ওই ২ নেতাকে হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে যায় পুলিশ।
সোমবার রাজ্যজুড়ে পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবসের ডাক দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই মতো গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো প্রথম সারির নেতা।
দেবশ্রী চৌধুরীর নেতৃত্বে মহিলা মোর্চার সদস্যারা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তাদের তরফে দিলীপ ঘোষদের এলাকা ছেড়ে উঠে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। তুলে নিতে বলা হয় বিক্ষোভ।
কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি দিলীপ ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদাররা। তখন পুলিশের তরফে প্রথমে জয়প্রকাশ মজুমদার ও পরে দিলীপ ঘোষকে হিড়হিড় করে টানতে টানতে বিক্ষোভস্থল থেকে তুলে দেওয়া হয়। পরে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর গ্রেফতার করা হয় শুভেন্দু অধিকারীকেও। তবে দেবশ্রী চৌধুরী এলাকা ছাড়তে চাননি। তখন তাঁকেও জোর করে তুলে দেওয়া হয় ও গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মহামারি আইনে ওই নেতা-নেত্রীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
সৌমিত্র খাঁ, শীলভদ্র দত্তদেরও রানি রাসমনি অ্যাভিনিউ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে এই বিক্ষোভ ঘিরে কোনও কোনও জায়গায় পুলিশের সঙ্গে BJP সমর্থকদের প্রবল ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
কলকাতার রানি রাসমনি অ্যাভিনিউতে বিজেপির মহিলা কর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। তাঁদের অনেককেই গ্রেফতরা করে পুলিশ। সূত্রের খবর, গ্রেফতারির পর তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিনের কর্মসূচি নিয়ে দিলীর ঘোষ তৃণমূলকে আক্রমণ করেন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ধরনা-অবস্থান করছিল আমাদের কর্মীরা। অথচ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। এই রাজ্যে আইনের কোনও শাসন নেই।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের লালবাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। আইন মেনে ধৃতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।