Durga Pujo 2021: ভবানীপুর ৭৫ পল্লির দুর্গাপুজো তাদের এবারের থিম 'মানবিক'। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পুরুলিয়ার ছৌ শিল্পীদের উন্নতির কাজে মগ্ন রয়েছেন তাঁরা।
ভবানীপুর ৭৫ পল্লির সদস্যরা তাঁদের এবারের পুজোর থিম 'মানবিক'-এর মাধ্যমে দুর্গাপুজোকে এক আলাদা মাত্রা দেওয়ার কথা ভেবেছে।
এই থিমকে ভিত্তি করে ৭৫ পল্লি দুর্গাপুজো কমিটি এবারে পুরুলিয়ার ছৌ-শিল্পীদের উন্নতিকল্পে সাহায্য করবে। এমনটাই পরিকল্পনা তাঁদের।
দক্ষিণ কলকাতার এই পুজোটি অভিনব থিমের মাধ্যমে প্রতি বছর সমাজের প্রতি একটি বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে।
তার জন্যই পুজোটি ধীরে ধীরে উল্লেখযোগ্য ভাবে সামনের সারিতে উঠে এসেছে। তারই রেশ ধরে এবারের থিম 'মানবিক'-এর মাধ্যমে তারা নিজেদের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চায়।
রামায়ণ, মহাভারত এবং দেশেরর অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনী বর্ণনা করে নিজস্ব শৈলীতে নাচের মাধ্যমে জনসমক্ষে তুলে ধরেন ছৌ শিল্পীরা।
যা দেশ তথা বিদেশের মাটিতেও যথেষ্ট জনপ্রিয়। পুরুলিয়া জেলার চড়িদা গ্রামটি ছৌ নৃত্যের মুখোশ তথা পোশাক তৈরির জন্য বিখ্যাত।
লকডাউনের ফলে বাংলার এই অতি জনপ্রিয় লোকশিল্প ছৌ নৃত্য প্রদর্শন একেবারে বন্ধ। তার ফলে শিল্পীরা আর্থিক ভাবে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। সে কথা মাথায় রেখেই পুজো কমিটির এই সিদ্ধান্ত।
ক্লাবের সেক্রেটারি সুবীর দাস বলেন, "এ বছর আমরা ছৌ শিল্পীদের শিশু এবং পরিবারবর্গকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি নিয়েছি। রাজ্য সরকারের তরফেও যাতে তাঁরা সাহায্য পান, চেষ্টা করা হচ্ছে। ছৌ নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন সরঞ্জামের প্রদর্শনের মাধ্যমে যাতে ছৌ শিল্পীরা কিছুটা আর্থিক ভাবে সাহায্য পান, তারই চেষ্টা করছি আমরা।"
তিনি আরও বলেন, "বিশ্ব কন্যা দিবসে তাই ২৫০ শিশুকন্যাকে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়াও পুজো উপলক্ষে ৫০টি আর্থিকভাবে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত ছৌ শিল্পীর পরিবারকে নতুন বস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা হবে।"
উল্লেখ্য, ভবানীপুর ৭৫ পল্লি এবারে ৫৭ তম দুর্গোৎসব পালন করছে, যার থিম রাখা হয়েছে 'মানবিক'।
মণ্ডপসজ্জা, প্রতিমা, পুজোর মণ্ডপের পরিবেশ, সুরক্ষা, সংহতি প্রভৃতির উৎকৃষ্ট মেলবন্ধনে এই পুজো মানুষের মন জয় করে নিয়েছে ইতিমধ্যেই।
'মায়ের আঁচল', 'ও আমার দেশের মাটি', 'আরশিনগর', 'আমার স্বপ্ন ভবানীপুরে... লন্ডন', 'খুঁজে পাওয়া স্মৃতির খাতা- উল্টে পাতা শোনায় কথা', 'মা', 'নীল সাদায় এক টুকরো ভবানীপুর' এবং গত বছরের 'নাগর দোলায় সবার পুজো' প্রভৃতি প্রতিটা থিম প্রতি বছর যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পুজোর মধ্যে এই পুজোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে। ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন আশা করছেন, এবারেও নিজেদের থিমের মাধ্যমে তারা শহরের পুজোগুলোর মধ্যে আলাদা জায়গা করে নিতে পারবে।