রবিবার তখন মধ্যরাত। আচমকা বিকট শব্দে ঘুম ভাঙল গার্ডেনরিচের ১৩৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের।
কেউ ভাবলেন ভূমিকম্প হয়েছে। কেউ ধড়ফড় করে বিছানা থেকে উঠে আঁতকে উঠলেন। দেখলেন, নির্মীয়মাণ বহুতল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। চারদিকে কান্নার রোল।
রবিবার রাত ১২টা নাগাদ ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ বহুতল। ওই বহুতল লাগোয়া ছিল ঝুপড়ি। বহুতল ভেঙে পড়ায় গুঁড়িয়ে যায় টালির চালের বাড়িগুলি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই ঘটনা ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
গভীর রাত থেকে চলছে উদ্ধারকাজ। উদ্ধারে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘটনাস্থলে যায় দমকলবাহিনী। উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র তথা এলাকার বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক'দিন আগেই বাড়িতে পড়ে গিয়ে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। কপালে ব্যান্ডেজ পরা অবস্থাতেই ঘটানস্থলে যান তিনি।
বহুতলটি বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল বলে মেনে নিয়েছেন ফিরহাদ। ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামস ইকবালের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রোমোটারকে। কলকাতা পুরসভার নির্মাণ দফতরের দুই ইঞ্জিনিয়রকে শোকজ করা হয়েছে।
গার্ডেনরিচকাণ্ডে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।