দুর্গাপুজো আসতে আর কিছু দিন বাকি বলা যেতে পারে। অনেক জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে খুঁটি পুজো।
এর মাঝে করোনা সংক্রমণ ঠেকাত, মানুষকে মাস্ক পরার কার্যকরিতা বোঝাতে অভিনব উদ্যোগ নিল কলকাতার এক পুজো কমিটি।
রবিবার তারা দেবী দুর্গা পরিয়ে দিল সোনার মাস্ক। বাগুইআটির বন্ধুমহল ক্লাব এই আয়োজন করেছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী-তৃণমূল বিধায়ক আদিতি মুন্সি (Aditi Munshi)।
অদিতি মুন্সি (Aditi Munshi) বলেন, সোনার মাস্ককে বিলাসের জিনিস হিসেব দেখবেন না। এর পিছনে যে ভাবনা রয়েছে, তা হল বাংলার মা-বাবার কাছে প্রতিটি মেয়েই হল সোনার মেয়ে।
তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সি (Aditi Munshi) আরও বলেন, আমরা এখানে সোনাকে ধাতু হিসেবে দেখছি না। মানুষকে আরও সচেতন করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের জন্য ২০২০ সালের দুর্গাপুজোয় বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। এবারও সতর্ক কলকাতা-সহ জেলার পুজোকর্তারা।
দেশে পুরোদমে চলছে করোনা টিকারকণের কাজ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোভিড থেকে বাঁচতে টিকার মতো হাতিয়ার আর কিছু নেই। এবার আরও ভাল খবর পাওয়া গেল এই টিকা নিয়েই। ইংল্যান্ডে চলা রিয়েল টাইম অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিটি ট্রান্সমিশন স্টাডির ফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ ০.১৫ শতাংশ থেকে চার গুণ বেড়ে ০.৬৩ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। তবে এটাও দেখা গিয়েছে, ১২ জুলাইয়ের পর থেকে সংক্রমণের হার কমেছে।
লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজ এবং ইস্পোস এমওআরআই-এর গবেষণা ২৪ জুন থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে করা হয়েছিল। সেখানে ৯৮ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে কী উঠে এল? ওই গবেষণায় বলা হচ্ছে, কোভিড টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন, এমন ক্ষেত্রে করোনায় সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়।
অতিমারীর কারণে আর্থিক ধাক্কা পড়েছে দুর্গাপুজোতে। বিজ্ঞাপনদাতার অভাবে পুজোর আয়োজনে পুজোকর্তারা অনেকটাই কাটছাঁট করেছেন। এমনই ছিল গতবারের ছবি।
দেখা যাচ্ছে, শুধু ছোট নয়, বড়রাও তাদের বাজেট প্রায় ৩০% থেকে ৫০% কমাতে বাধ্য হয়েছিলেন। থিম, সাজসজ্জা, জৌলুস সেবার যেন অনেকটাই ফিকে। অনেক কিছুই বা দিতে হয়েছে এবার। তা সে প্রতিমার আকার হোক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঢাকি, স্টল বসানো।
অন্যান্য বছরের তুলনায় গত বছর সব কিছু কমিয়ে আনা হয়েছিল।