স্ট্রিট আর্ট বিদেশে বেশ পরিচিত জিনিস। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপে হামেশাই দেখা যায়, সে জিনিস। সেই ছোঁয়া কলকাতায়। এ বছর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের ১৬০ বছর। সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ। স্ট্রিট আর্টে ওই দুই মহান ব্যক্তিত্বের ছবি তুলে ধরা হয়।
কলকাতার পার্ক সার্কাসের ট্রাম ডিপোর দেওয়ালে তাঁদের ছবি একে তাঁদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
কলকাতার বিভিন্ন দেওয়ালে ময়লা দেখা যায়। সেই ছবি বদলাতে তা সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য় পরিবহণ নিগম। কলকাতার বিশিষ্ট মানুষদের শ্রদ্ধাও জানানো যাবে ছবির মাধ্যমে। রাজ্য় পরিবহণ নিগম (WBTC)-এর ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর রজনবীর সিং কাপুর জানান, দেখা যায়, অনেকেই রাস্তায় থুতু ফেলেন, ময়লা করেন। ফলে দেওয়ালগুলো দেখতে খারাপ লাগে। দেওয়াল সাজিয়ে তুললে মানুষকে সেই কাজ থেকে বিরত করা যেতে পারে। তাই এই ব্যবস্থা।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সেজে উঠতে শুরু করল কলকাতা। এই উদ্যেোগ নিয়েছিল রাজ্য় পরিবহণ নিগম (WBTC)। তাদের এই কর্মসূচির নাম 'দ্য কালার্স অফ কলকাতা' (Colours of Kolkata)। একবার এই কাজ শেষ হলে অনেকটাই বদলে যাবে কলকাতার ছবি। দেশের আর কোথাও এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছে নিগম। দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলে পরিচিত কলকাতা। তা আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।
তিনি আরও জানান, আগামী সময় বিশিষ্ট শিল্পীদের এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হবে যাতে তাঁরা নিজেদের সময় দেন। এবং সাজিয়ে তোলেন কলকাতার দেওয়াল। তা হলে শহর আরও সুন্দর হয়ে উঠবে। দ্য কালার্স অফ কলকাতা' (Colours of Kolkata) শুরু হল পার্ক সার্কাস ট্রাম ডিপো থেকে। এরপর ধাপে ধাপে সব ডিপো সেজে উঠবে। পুজোর আগে এই কাজ সেরে ফেলা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হবে- কলকাতা দেশের অন্যতম সুন্দর শহর। শিল্পী মুদর পাথেরিয়া জানান, এই সুযোগ পাওয়ার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। যে কোনও শিল্পীই চাইবেন কলকাতাকে আরও সুন্দর করে তুলতে।
এদিন জাতীয় পতাকায় সেজে উঠেছিল কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালও।
সেখানে বড়সড় জাতীয় পতাকা লাগানো হয়েছিল। সাড়ে ৭ হাজার স্কোয়ার ফুটের পতাকা লাগানো হয়েছিল।
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)।