অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্য়ায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর জন্মদিন ছিল ১৩ অগাস্ট।
তিনি তাঁকে চিঠি পাঠিয়েছেন।
তাঁর শুভ কামনা করেছেন।
রবিবার শ্রাবন্তী সেই চিঠি সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন।
তিনি বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর রাজনীতি আসা একটা চমক ছিল।
বিজেপির প্রার্থীও হয়েছিলেন।
তিনি বেহালা পশ্চিম থেকে ভোটে লড়েছিলেন। তবে ভোটে জিততে পারেননি। ভোটের সময় জোরদার প্রচার করেছিলেন।
শ্রাবন্তী ফেসবুকে লিখেছেন, আমি সত্যি সম্মানিত। এটা আমার জন্মদিনের সেরা উপহার। অনেক ধন্যবাদ দিদি...মমতা ব্যানার্জি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশিষ্টদের জন্মদিনে এভাবেই শুভেচ্ছা পাঠান। তাদের কাছে চিঠি দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই চিঠিতে লিখেছেন, "শুভ জন্মদিনে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। আগামীতে আসুক আরও সাফল্য, আরও আনন্দ, এই শুভেচ্ছা রইল। পরিবারের সকলকে নিয়ে ভালো থেকো, সুস্থ থেকো।"
ফলে অনেকে আবার এর মধ্যে আর কোনও কারণ খুঁজছেন না।
তবে তিনি কি তৃণমূলে যোগ দেবেন, এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। চিত্রতারকারদের সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তৃণমূলের বেশ কয়েকজন সাংসদ-বিধায়ক চিত্রতারকা।
এবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তারকাদের প্রার্থী করেছিল। তৃণমূল এবং বিজেপি অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের টিকিট দিয়েছিল। সেখানে বামেরা মাত্র একজন তারকাকে ভোটের টিকিট দিয়েছিল। বেহালা পূর্ব থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন অভিনেত্রী পায়েল সরকার। পাশের কেন্দ্র বেহালা পশ্চিম। সেখানেও এক তারকা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি হলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্য়ায়। তিনি বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। শ্যামপুরে বিজেপির তারকা প্রার্থী তনুশ্রী চক্রবর্তী। আসানসোল দক্ষিণে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ এবং বিজেপির প্রার্থী অগ্নিমিত্রী পাল। ভবানীপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।