অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করল বর্ষা। উত্তরবঙ্গে প্রায় সপ্তাহ দুই দিন আগে ঢুকে গিয়েছিল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। শুক্রবার আগমন ঘটল দক্ষিণবঙ্গে।
গত ৩ জুন আগেভাগে উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়েছিল বর্ষা। ১৪ দিন বাদে গোটা উত্তরবঙ্গেই বর্ষা জাঁকিয়ে বসল। মালদহেও ঢুকে পড়ল মৌসুমী বায়ু।
আগামী ৩ থেকে ৪ দিন উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। উপরের পাঁচটি জেলায় আগামী ৩ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
উত্তরবঙ্গে ১৯ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে। অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে। দার্জিলিং এবং কালিম্পঙেও অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ভূমিধসের সম্ভাবনাও রয়েছে। কমবে দৃশ্যমানতা। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কৃষিকাজের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকছে। এক ধাক্কায় নামবে পারদও।
শুক্রবার বিকেলে মৌসম ভবনের তরফে মৌসুমী বায়ুর অগ্রগতির মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদের বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করেছে বর্ষা।
গত ৩ জুন থেকে অপেক্ষায় রয়েছেন দক্ষিণবঙ্গবাসী। প্যাঁচপ্যাঁচে গরমে বাড়়ছিল অস্বস্তি সূচক। অবশেষে তার থেকে মুক্তি মিলল।
আজ থেকে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। প্রায় সমস্ত জেলায় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা।
এ বার অনেকটাই দেরিতে ঢুকল বর্ষা। আগামিকাল সকাল সাড়ে ৮টায় বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে কোন কোন অংশে বর্ষা ঢুকেছে তা স্পষ্ট হবে। তৈরি হয়েছে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি।
আপাতত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। এক-দুদিন পর টানা বৃষ্টি চালু থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।