Vishwakarma Puja 2021: বিশ্বকর্মা পুজোর দিন চিনা মাঞ্জা রুখতে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাল কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার বিশ্বকর্মা পুজোয় শহরের বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালানো হয়।
চিনা মাঞ্জার সুতো যুক্ত ঘুড়ির দাপটে কলকাতার উড়ালপুলে হামেশাই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
ঘুড়ির সুতো গলায় লেগে সবথেকে বেশি বাইক দুর্ঘটনা ঘটে কলকাতার মা উড়ালপুলে। তিলোত্তমার দীর্ঘতম এই উড়ালপুলে বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় গলায় চিনা মাঞ্জার সুতো লেগে গত সপ্তাহেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট।
আর প্রথা অনুযায়ী এই বিশ্বকর্মা পুজোর দিনেই সব থেকে বেশি আকাশের দখল নেয় রংবাহারি ঘুড়ি।
যার মধ্যে অধিকাংশই থাকে চিনা মাঞ্জার সুতো। তাই এই বিশেষ দিনটিতে শহর কলকাতাকে দুর্ঘটনা মুক্ত রাখতে এবং চিনা মাঞ্জা সুতোর দাপট কমাতে ড্রোনের মাধ্যমে বিশেষ পদ্ধতিতে নজরদারি চালাল কলকাতা পুলিশ।
এদিন দুপুর দু'টো নাগাদ পাক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট মোড় থেকে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ড্রোন ওড়ানো হয়।
উপস্থিত ছিলেন তোপসিয়া, কড়েয়া, তিলজলা, বেনিয়াপুকুর থানা এবং ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের অফিসার ইনচার্জ সহ কলকাতা একাধিক আধিকারিক।
এদিন ড্রোনের মাধ্যমে মা উড়ালপুল, এজেসি বোস ফ্লাইওভার, তোপসিয়া, তিলজলা, বেনিয়াপুকুর, ট্যাংরা, পার্কসার্কাসের বিভিন্ন এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়।
গত কয়েক বছরে চিনা মাঞ্জা ঘুম কেড়েছে সকলের। যার জেরে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এই সুতোর ব্য়বহারে। তবে অভিযোগ, তারপরও এই মাঞ্জার ব্যবহার বন্ধ করা যায়নি।
এই সুতোর জন্য মানুষ তো বটেই, বিপদের মুখে পড়েছে পাখি। 'বন্য' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এ ব্য়াপারে প্রচার চালিয়েছিল। চিনা মাঞ্জার ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে বিশ্বকর্মা পুজোর আগে থেকে লাগাতার প্রচার করেছিল তারা।
অন্য ছবি শান্তিপুরে
প্রাণঘাতী নাইলন সুতোয় ঘুড়ি ওড়ানো কুঅভ্যাস বদলে ফেলে সাবেকি সুতির সুতো মাঞ্জা দিতে ব্যস্ত শান্তিপুরের প্রজন্মের ছেলেরা। দীর্ঘ লকডাউনে বন্ধ তাঁত ঘরের ঠকঠক শব্দ! তবে হামানদিস্তায় কাচ গুঁড়ো করার শব্দ কিছুটা হলেও উপার্জনের দুঃখ ভুলিয়ে ক্ষণিকের আনন্দ দিতে সমর্থ হয়েছে।