আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলেই তা ওড়িশা উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করেছে। এর প্রভাবে আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গে।
আবহাওয়া দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকতা এবং তার আশপাশের অংশে নেই বললেই চলে। তবে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্রই।
বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ারও পূর্বাভা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত এমন আবহাওয়াই থাকবে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কার্নিভ্যালের দিন কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে। দিনভর বৃষ্টি না হলেও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতেরও পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার রেড রোডের উপর এই কার্নভ্যাল আয়োজিত হবে। একের পর এক পুজো মণ্ডপের প্রতিমা ট্যাবলোতে প্রদর্শিত হবে। সেক্ষেত্রে বৃষ্টি হলে আয়োজন পণ্ড হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তবে ভারী বৃষ্টি হবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ভারী বৃষ্টি হবে পাহাড়ের জেলাগুলিতে। অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার,জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে ৯ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হবে।
শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টি হবে।
মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে শনিবার সকাল পর্যন্তই। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার উপকূল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর এখনও উত্তাল। সেখানে সমুদ্রের উপর ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে।
উত্তর-পশ্চিম এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর নিয়ে সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে আজ অর্থাত্ শুক্রবার ও আগামিকাল শনিবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পুজো মিটতেই ছুটিতে বহু মানুষ উত্তরবঙ্গ ও সিকিম বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেছেন। অনেকে বেরিয়েও পড়েছেন। এহেন পরিস্থিতিতে পর্যটকদের জন্য দুর্যোগের সতর্কবার্তা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও ডুয়ার্স এবং সিকিমে শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে। একইসঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং সহ পাহাড়ি এলাকায় ধস নামতে পারে।
সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গন থেকে গ্যাংটক যাওয়ার রাকডং টিনটেক রোড এখন সম্পূর্ণ চালু থাকলেও, ফোডং রোড দিয়ে শুধুমাত্র কম যানবাহন চলাচল করছে। মঙ্গন–চুংথাং সংযোগকারী তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রুট প্রায় বন্ধ। রিংখোলা এলাকায় ফিডাং–সাংলালাং রোড ধসে বন্ধ হয়ে আছে। সাংলালাং–শিপগিয়ার রোড এডিএমএস অঞ্চলও বিপর্যস্ত। লাচেন যাওয়ার রাস্তা ধসের জেরে কার্যত বন্ধ। তবে লাচুং ও চুংথাং যাওয়ার রাস্তা ঠিক আছে।