Weather Update: নিঃসন্দেহে ভাল খবর। কলকাতা-সহ সারা বঙ্গে প্রবেশ করল শীতের আমেজ। এমনই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে আমাদের রাজ্যে ও গোটা পূর্ব ভারতে উত্তর-পশ্চিমের শীতল হাওয়ার প্রভাবে তাপমাত্রা অনেকটা নেমে গিয়েছে। এই হাওয়া বেশ কয়েকদিন প্রবেশ করবে। এবং এর প্রভাবে আমাদের রাজ্যে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে নীচে থাকবে।
রাতের তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। পশ্চিমের কয়েকটা জেলাতে দেখে গিয়েছে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। কলকাতাতেও দু-একদিনের মধ্যে আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়ায় তাপমাত্রা কমবে।
কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে সকালের দিকে শীতের আমেজ থাকবে। দিনের বেলায় রোদ থাকবে এবং দিনের বেলা তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে।
কালীপুজোর ক্ষেত্রে আকাশ পরিষ্কার থাকবে। বৃষ্টি আগামী চার দিন আমাদের রাজ্যে নেই।
এবং উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে রবিবার ও তার পরেরদিন মানে সোমবার দার্জিলিং কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিংয়ের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা স্বাভাবিক এবং স্বাভাবিকের নীচে থাকবে।
এখন দার্জিলিং এর তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি রয়েছে এবং ২ নভেম্বরের পর থেকে এটা একটু কমবে। তা প্রায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে।
ঘটনা হল এবার বর্ষার ব্যাটিং একটি বেশিই লম্বা হয়েছে। সাধারণত যে সময় বর্ষা বিদায় নেয়, তার থেকে পর সেই পর্ব মিটেছে। পুজোর সময় তৈরি হয়েছিল বৃষ্টির আশঙ্কা। আর তা হয়েছেও।
পুজোর বিভিন্ন দিনে কলকাতা-সহ রাজ্যে বৃষ্টি হয়েছিল। তবে প্রবল বৃষ্টি হয়নি। ফে বাঙালির প্রাণের উৎসব মাটি হয়ে যায়নি।
এখন সবাই শীতের অপেক্ষায়। গত কয়েকদিন একটু একটু করে খেল দেখাতে শুরু করে ঠান্ডা। বাতাসে শীতল আমেজ। দিব্যি উপভোগ করা যাচ্ছে ঠান্ডা স্পর্শ। কবে জমিয়ে ঠান্ডা পড়ে, সেটাই দেখার।
আজ, রবিবার কলকাতার আবহাওয়া কেমন থাকে, দেখা যাক। আবাহওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, শনিবার মহনগরীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি।
আর রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক।
আজ কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বলা যেতে পারে, আবহাওয়া বেশ মনোরম। গত কয়েকদিনের আকাশ তো তাই বলছে। জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও ঠান্ডার পরশ রয়েছে।