করোনা পরিস্থিতির জের। ফের কমানো হল ২০২২ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার সিলেবাস। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
পর্যদের ঘোষণা, সিলেবাস অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। তবে এর কারণ জানানো হয়নি। তবে অনেকের ধারনা, করোনার কারণেই সিলেবাস ছেঁটে ফেলল পর্যদ।
কেমন হবে প্রশ্নপত্র তাও বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করেছে পর্ষদ। তাদের ঘোষণা, ব্যাখ্যা মূলক প্রশ্ন থাকলেও সংক্ষিপ্তধর্মী বা মাল্টিপল চয়েস টাইপের প্রশ্নই বেশি থাকবে। ৯০ নম্বরের পরীক্ষা ধরেই প্রশ্নপত্রের বিভাজন দেওয়া হয়েছে পর্ষদের নির্দেশিকায়।
প্রশ্নপত্রের ধাঁচ কেমন হবে? পর্ষদ জানিয়েছে, ৯০ নম্বরের প্রশ্নের মধ্যে ১৫টি MCQ, ১ নম্বরের ২১ টি ছোটো প্রশ্ন ও ব্যাখ্যাধর্মী মিলিয়ে পরীক্ষা হবে। তবে কবে সেই পরীক্ষা হবে তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছুই জানানো হয়নি।
এদিকে স্কুল না খুলেই সিলেবাস কমানোর বিরোধিতা করেছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল এই নিয়ে বলেন, 'সিলেবাস কমানোর আগে রাজ্য সরকারের উচিত স্কুল খোলা ও পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা। পরীক্ষা না হলে সিলেবাস কমিয়ে কী হবে?'
স্বপনবাবু আরও বলেন, 'গতবারও সিলেবার ছোটো করা হয়েছিল। অথচ পরীক্ষা হল না। তাহলে এর অর্থ কী? সরকারের উচিত আগে স্কুল খোলা। তারপর এগুলো নিয়ে ভাবা যেতে পারে।'
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে এখনও দশম শ্রেণির অফলাইন ক্লাসও শুরু হয়নি। কবে স্কুল খুলবে তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানান, দুর্গাপুজোর পরে স্কুল খোলা হতে পারে। তবে করোনা পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলেই।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালেও মাধ্যমিক পরীক্ষার সিলেবাস ছোটো করা হয়েছিল। পরীক্ষার প্রস্তুতি ও নিয়ে নিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নিতে রাজ্য সরকার একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। সেই বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ এবং অভিভাবকদের মতামতের নিরিখে রাজ্য পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।