শনিবার ভবানীপুর-সহ ৩ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভবানীপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার ২১ এর বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে BJP প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন। ২ মে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়।
কিন্তু, ভোটে পরাজিত হলেও তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও Non Mla মুখ্যমন্ত্রী হলে তাঁকে ৬ মাসের মধ্যে জিতে আসতে হয়। না হলে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যায়। ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা। সাংবিধানিক নিয়ম মেনে ৫ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে বিধায়ক হয়ে আসতে হবে।
সেই মতো উপনির্বাচনের তোড়জোড় শুরু করে দেয় রাজ্যের শাসক দল। ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে পদত্যাগ করেন তিনি। তখনই কার্যত পরিষ্কার হয়ে যায়, ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে উপনির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হয়। BJP-র তরফে বারবার দাবি করা হয়, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এখনই নির্বাচন করা উচিত নয়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, উপ-নির্বাচন ইস্যুতে তৃণমূলের সমালোচনা করেন। করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা উচিত নয় বলে জোরালো সওয়াল করেন তিনি।
তবে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তাঁদের তরফে কমিশনের কাছে রাজ্যের করোনা রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়। বলা হয়, রাজ্যে এখন নির্বাচন করানোর উপযুক্ত সময়। কারণ করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
তারপরও ভবানীপুরে নির্বাচন হবে কি না সেই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। এরইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখা হয়। তারপরই ভবানীপুর-সহ ৩ কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনরে তরফে লিখিত বিবৃতি করে জানানো হয়, 'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিও ভোটকেন্দ্রগুলির উপর প্রভাব ফেলেনি। সাংবিধানিক প্রয়োজনিয়তা মেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ অনুরোধে ভবানীপুরে ভোটের সিদ্ধান্ত।'
অর্থাৎ সব জল্পনার অবসান। ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোট হবে। ভোটগণনা হবে আগামী ৩ অক্টোবর।