Advertisement

Abhijit Babul: মাঝ সেতুতে বাবুল-অভিজিৎ বিবাদ! সাধারণ মানুষ হলে ছাড়ত? কলকাতা ও হাওড়া পুলিশকে চিঠি

বাবুল সুপ্রিয় ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন সমাজকর্মী প্রতাপ বসু। গত শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর বাবুল-অভিজিতের বচসার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এর জেরে সাময়িকভাবে ব্রিজে যানজট হয়।

সেকেন্ড ব্রিজে বাবুল-অভিজিৎ বচসা, 'সাধারণ মানুষ হলে...' পুলিশি ব্যবস্থার দাবিতে চিঠিসেকেন্ড ব্রিজে বাবুল-অভিজিৎ বচসা, 'সাধারণ মানুষ হলে...' পুলিশি ব্যবস্থার দাবিতে চিঠি
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • কলকাতা,
  • 05 Jan 2025,
  • अपडेटेड 11:59 AM IST

বাবুল সুপ্রিয় ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন সমাজকর্মী প্রতাপ বসু। গত শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর বাবুল-অভিজিতের বচসার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এর জেরে সাময়িকভাবে ব্রিজে যানজট হয়। সে কথা উল্লেখ করেই সমাজকর্মী প্রতাপ বসুর দাবি, 'আইনের চোখে সবাই সমান। তাই পুলিশ উভয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।' ইমেল মারফত কলকাতা পুলিশ এবং হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। 

গত ৩ জানুয়ারি রাতে গাড়িতে কলকাতার দিক থেকে হাওড়ায় তাঁর বাড়ি ফিরছিলেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। অন্যদিকে সেই সময়েই তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়িও আসছিল হাওড়া ব্রিজ দিয়ে। বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগ, পিছন থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়িতে ক্রমাগত হর্ন বাজানো হচ্ছিল। সঙ্গে হুটারও বাজছিল। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাবুল। গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। এরপর বিজেপি সাংসদের গাড়ির সামনে এসে জানতে চান এমনটা কেন করা হচ্ছে। 

গাড়ির ভিতরে পেছনে বসে ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  তমলুকের সাংসদের গাড়ির চালকের কাছে এইভাবে গাড়ি চালানোর কারণ জানতে চান বাবুল। তিনি বলেন, 'যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।'

আরও পড়ুন

এদিকে বাবুলের অভিযোগ, সেই সময় পিছন থেকে ড্রাইভারকে এগিয়ে যেতে বলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাবুলের অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনটাই দাবি তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পাল্টা দাবি করেন যে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তাঁকে 'সরি' বলতে হবে। এর জেরে তুমুল বচসার পরিস্থিতি তৈরি হয়। 

দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে এভাবে একাধিক গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় তীব্র যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হয়।

খবর পেয়ে ছুটে আসে হেস্টিংস থানার পুলিশ। এরপর পুলিশের আধিকারিকরা দুই পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সমাজকর্মী প্রতাপ বসুর কথায়, 'সাধারণ মানুষ এই ধরনের কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ব্যবস্থা নিত। কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় দু'জনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'

 সংবাদদাতাঃ বৈদ্যনাথ ঝা   

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement