নন্দীগ্রাম। একুশের বিধানসভা ভোটে সবথেকে চর্চিত কেন্দ্র। ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলাফলও প্রকাশিত। রাজ্য সরকার গঠন করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পূর্ব মেদিনীপুর ছোট জনপদ নন্দীগ্রাম।
সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে ফের মুখোমুখি দুই 'প্রার্থী'! এবার ভোটের পর। একজন মুখ্যমন্ত্রী এবং আর একজন বিরোধী দলনেতা। নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী এবং সংযুক্ত সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। এ কথা ঠিক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের অনেক দূরে শেষ করেছেন।
তবে শুভেন্দু অধিকারী হারিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যিনি এক সময় তৃণমূলের অন্য়তম গুরুত্বপূর্ণ মুখ ছিলেন। তবে পরে দলে সঙ্গে মতপার্থক্য তৈরি হয়। যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।
আরও পড়ুন: পুজোমণ্ডপ এখন সেফ হোম! পথ দেখাল কলকাতার গল্ফ ক্লাব রোড
এবারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল বিপুল জয় পেয়েছে বললে ভুল বলা হবে না। তারা গতবারের থেকে নিজেদের আসনসংখ্যা বাড়িয়ে নিয়েছে। জিততে না পারেলেও মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নিয়েছেন।
ঘটনা হল, ফের তাঁকে ফের ভোটে দাঁড়াতে হবে। মনে করা হচ্ছে তিনি উপনির্বাচনে জিতে নিজের পদ ধরে রাখবেন। নিয়ম মতো, ছ'মাসের মধ্যে তাঁকে ভোটে জিতে আসতে হবে।
বিজেপি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে। ২০১৬ সালে তাদের বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৩। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে বহুগুণ। তাদের এখন বিধায়ক সংখ্যা ৭৭। বাংলায় তারাই এখন প্রধান বিরোধী দল।
পদ্ম-শিবির ঠিক করেছে বিরোধী দলনেতা হবেন শুভেন্দু অধিকারী। এ কথা তারা ঘোষণা করে দিয়েছে। অর্থাৎ মমতা-শুভেন্দু ফের মুখোমুখি। এবার বিধানসভায়। নন্দীগ্রামের পর আরও একবার। তবে এটা আরও বেশি সময়ের জন্য। ধরে নেওয়া যেতে পারে ৫ বছরের জন্য।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবেন, তা নিয়ে এখনও জল্পনা-কল্পনা তুঙ্গে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল তিনি খড়দা কেন্দ্রে দাঁড়াবেন। কিন্তু এখন সেখান থেকে অমিত মিত্র দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
কারণ এর আগে অমিতবাবু ওই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন, মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন। এবার তিনি ভোটে দাঁড়াননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত মিত্রকে এবারও মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়েছেন।
তাঁকে অর্থ দফতরের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি আগেও অর্থমন্ত্রী ছিলেন। খড়দায় তৃণমূলের প্রার্থী ছিল কাজল সিনহা। তিনি ভোটে জিতেছেন। কিন্তু ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ফলে সেখানে উপনির্বাচন করতে হবে। যেহেতু খড়দা কেন্দ্র থেকে আগে অমিত মিত্র ভোটে লড়তেন ফের সেখান থেকে তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আরও কয়েকটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে।