
শহরের রাস্তা দখল করেছে অটো। সেখানে হাতে টানা রিকশা এখন বিপন্ন। কল্লোলিনীর হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় দেখা মেলে হাতে টানা রিকশার। আর শহরের বুকে যতগুলি এই ধরনের রিকশা রয়েছে, সেগুলিতেও তেমন একটা যাত্রী হয় না বলেই অভিযোগ। যার ফলে ধুঁকছে এই পেশা। আয় নেই বললেই চলে। আর এমন পরিস্থিতিতেই হাতে টানা রিকশা ইউনিয়ন ‘অল বেঙ্গল রিকশা ইউনিয়ন' চিঠি দিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে। নিজেদের অস্তিত্ব সংকটের কথা জানিয়েই এই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কী বলা হয়েছে চিঠিতে?
যতদূর খবর, এই চিঠিতে তারা দাবি করেছে গোটা কলকাতায় এই মুহূর্তে প্রায় ৬ হাজার হাতে টানা রিকশা চালক রয়েছেন। আর বর্তমানে তাঁদের দিন সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আয় খুব কম। তাই তাঁরা সরকারকে এই পেশা রক্ষা করার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি যাতে আয় বাড়ানো যায়, সেটাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। আর এই চিঠিতে সুপ্রিমকোর্টের একটি নির্দেশের কথাও উল্লেখ করা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কী নির্দেশ ছিল সুপ্রিমকোর্ট?
ইউনিয়ের পক্ষ থেকে যেই চিঠি দেওয়া হয়, তাতে মহারাষ্ট্র সরকারকে দেওয়া সুপ্রিমকোর্টের একটি নির্দেশ তুলে ধরা হয়েছে। সেই নির্দেশে সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছিল, হাতে টানা রিকশাগুলি আর রাখা যাবে না। সেগুলিকে ই রিকশায় পরিবর্তন করতে হবে। সেই সঙ্গে রিকশা চালকদের যাতে আয় বাড়ে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি হাতে টানা রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও নিজেদের নির্দেশে জানিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। এই রায়টি ২০২৫ সালের মধ্যে কার্যকর কথা বলেছিল শীর্ষ কোর্ট।
সরকারকে পাশে থাকার অনুরোধ
এই চিঠিতে সরকারকে এই সকল রিকশা চালকের পাশে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের জীবনযাত্রার মান যাতে বাড়ানো যায়, আর্থিক হাল যাতে ফেরে সেটা সুনিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। তাহলেই এই বিপন্ন পেশাকে এবং পেশাদারদের বাঁচানো যাবে বলে মনে করছেন তারা।
এখন দেখার সরকার এই দাবির কতটা গুরুত্ব দেয়। তাদের পক্ষ থেকে আদৌ কলকাতার এই ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য কিছু করা হয় কি না।
তুলে দেওয়ার দাবিও রয়েছে
হাতে টানা রিকশাকে অনেকেই অমানবিক মনে করেন। তাই অনেক সংগঠনই এটা তুলে দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী। যদিও এই বিষয়ে সরকার কিছু জানায়নি।