গত শুক্রবার অমরনাথ বিপর্যয়ের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বারুইপুরের তরুণী বর্ষা মুহুরি। তাঁর মৃত্যু হয়েছে। জানালেন জেলাশাসক। তিনি জানান বারুইপুরের ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বর্ষার মা ও মামা আহত বলেও জানা গিয়েছে।
গত ১ জুলাই জম্মু কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা হন বর্ষার পরিবারের তিন সদস্য শুক্রবার মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলের আসা হড়পা বানে ভেসে যান বর্ষা মুহুরি। তাঁর মা ও মামা আহত হন। বর্ষা সেদিন থেকেই নিখোঁজ ছিল বলে খবর। এরপর এদিন তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মা'কে বাঁচাতে গিয়ে বর্ষা ভেসে যান। তারপর থেকেইন নিখোঁজ ছিলেন তিনি। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বর্ষার বয়স ২২। তিনি কলেজে পড়তেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বর্ষার পরিবারের পাশে রয়েছে প্রশাসন। আরও যাঁরা নিখোঁজ রয়েছেন, তাঁদের খোঁজ চলছে। বর্ষার দেহ ফিরিয়ে আনা হবে বলেও খবর।
স্থানীয় কাউন্সিলর বিকাশ দত্ত জানিয়েছেন, বর্ষার বাবা চন্দন মুহুরির হৃদরোগের সমস্যা আছে। তাঁকে এই খবর জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে আগেই জানিয়েছেন, আমাদের দিল্লি আরসি অফিস সক্রিয় করেছে, বাংলা থেকে তীর্থযাত্রীদের উদ্ধারের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর সরকারকে সংযুক্ত করেছে। অমরনাথে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আটকে-পড়া পর্যটকদের বিষয়ে খবর নেওয়ার জন্য আগ্রহীরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কন্ট্রোল রুম নম্বর 033-22143526-এ যে কোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।