Advertisement

'বড় দেশের ভয়ে কাপুরুষের মতো...', মোদীকে নিশানা ফিরহাদের

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, একটা বড় দেশের ভয়ে কাপুরুষের মতো সেনাবাহিনীকে থামানো হয়েছে।

'বড় দেশের ভয়ে কাপুরুষের মতো সেনাকে থামানো হয়েছে' মোদীকে খোঁচা ফিরহাদের'বড় দেশের ভয়ে কাপুরুষের মতো সেনাকে থামানো হয়েছে' মোদীকে খোঁচা ফিরহাদের
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 07 Jun 2025,
  • अपडेटेड 1:16 PM IST
  • মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যেরও সমালোচনা করেছেন ফিরহাদ
  • কৈলাস বলেছিলেন, মেয়েদের ছোট পোশাক পরা তিনি একেবারেই পছন্দ করেন না

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, একটা বড় দেশের ভয়ে কাপুরুষের মতো সেনাবাহিনীকে থামানো হয়েছে। ফিরহাদ বলেন,'ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের জীবন দিয়ে, তাদের ক্ষমতা দিয়ে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এখানে মহান কিছু করেননি। বরং, একটি বৃহৎ দেশের ভয়ে কাপুরুষের মতো সেনাবাহিনীকে থামানো হয়েছে, এটা ঠিক হয়নি। আমাদের সেনাবাহিনী ভারতের সম্মান রক্ষা করেছে। আমরা আজ তাদের স্যালুট জানাচ্ছি।'

এদিকে, মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যেরও সমালোচনা করেছেন ফিরহাদ। কৈলাস বলেছিলেন, মেয়েদের ছোট পোশাক পরা তিনি একেবারেই পছন্দ করেন না। এ বিষয়ে পশ্চিমী সংস্কৃতি এবং ভাবধারার সঙ্গে তিনি একমত নন। কৈলাস দাবি করেন, ছোট পোশাক পরে কোনও মেয়ে যদি তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে আসেন, তিনি তাঁকে ফিরিয়ে দেন। ছবি তোলেন না। যদিও মেয়েদের তিনি 'দেবী'-র মতো দেখেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।

এনিয়ে ফিরহাদ বলেন, 'আসলে, বিজেপি দল নিজেই একটি নারীবিদ্বেষী। স্বাধীনতা। নারীরা স্বাধীনতা বোঝে না। তুমি এটা পরবে না, ওটা পরবে না। এটা ওটা খেও না। এটা ভারত। ভারতের মানুষ এই বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেখবে না, ভারতের মানুষ শুনবে না। নারীরাও শুনবেন না। নারীরা আমাদের বাংলায় দুর্গার রূপ। তাঁদের অপমান করা যাবে না। তোমাদের নিজের মনে ময়লা এবং অবিচার আছে। নারী স্বাধীনতা মানে স্বাধীনতা। আমি যেমন তোমাকে বলতে পারি না, তুমিও কাউকে বলতে পারো না।'

আরও পড়ুন

ফিরহাদের আরও যোগ, 'আমরা সকল ধর্মের সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। প্রকৃত হিন্দুরা অন্যের ধর্মকে সেভাবেই সম্মান করে। তাই হিন্দুত্বের প্রসঙ্গ তুলে ভোট হয় না। আমি মসজিদে প্রার্থনা করি, আমাদের দুর্গাপুজো তার পাশেই অনুষ্ঠিত হয়। এটি আমাদের সকল ধর্মের সম্প্রীতির হিন্দুস্তান। এটি বাংলা। এখানে কোনও বিভেদ ও শাসন নেই। এটি শ্রীচৈতন্যদেবের স্থান। যেখানে আমরা সবাই একসঙ্গে ভালবাসা ভাগ করে নিই। কোনও ঘৃণা নেই।'

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement