আরও একবার সারদাকাণ্ডে ছবি বিক্রির প্রসঙ্গ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিনও সরসারি কারও নাম নেননি। তবে তাঁর ইঙ্গিত যে কার দিকে তা আর কারও বুঝতে বাকি নেই বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের পর কলকাতার সভাতেও সারদার ছবি বিক্রি নিয়ে তদন্তের অগ্রগতির হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এ দিন তিনি বলেন,'এ তো সবে সকাল মা। এ তো সবে সকাল। ছবি কেনাটা তো আসছে। সঞ্জয় ভুটিয়া, হর্ষ নেওটিয়া, গৌতম কুণ্ডু, সুদীপ্ত সেন- কার ছবি কিনেছিলেন? লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ছবি! ভেবেছেন সারদা পুরনো হয়ে গিয়েছে? অপেক্ষা করুন, ছবি আসছে। শুধু ভাতিজা নয়, সঙ্গে বুয়াকেও যেতে হবে।'
পরপর দু'দিন বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। শুভেন্দু কারও নাম নেননি। তবে সারদাকাণ্ডের সময় বিরোধী নেতানেত্রীরা অভিযোগ করেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি কিনেছিলেন সুদীপ্ত সেন। ২০১৪ সালের ভোট প্রচারে এসে শ্রীরামপুরের সভায় নরেন্দ্র মোদীও অভিযোগ করেছিলেন, ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকায় দিদির আঁকা ছবি কিনেছেন সুদীপ্ত সেন। সারদাকাণ্ডের তদন্তে ছবি কেনার বিষয়টিও উঠে এসেছিল। তবে তার পর আর তা বেশিদূর এগোয়নি। তাহলে কি নতুন করে তদন্ত শুরু করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? সেই ইঙ্গিতই দিলেন শুভেন্দু অধিকারী, জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে।
শুভেন্দুকে পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের থেকে টাকা নিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। বলে রাখি, শুভেন্দুকে টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন। কুণাল বলেন,'সারা বাংলা জানে সারদা নিয়ে আমি যখন সরব হয়েছিল তখন এই শুভেন্দু অধিকারী কোথায় ছিলেন? আমি তো বলেছিলাম,সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে যাঁরা টাকা নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম শুভেন্দু অধিকারী। আমাকে জেলে পাঠিয়ে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। এই বিপ্লব তখন করেননি কেন? ওঁ কী ছাড়বে না, আমিই ছাড়ব না। ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছে। ৩১৩ ধারা প্রয়োগ হলে কলার ধরে জেলে পৌঁছে দেব। নইলে আমার নাম কুণাল ঘোষ নয়। কাঁথিতে টাকা নিয়েছে শুভেন্দু। ওর লোক টাকা নিয়েছে। তদন্ত থেকে বাঁচতে বিজেপিতে বসে আছে।'