Suvendu Adhikari: রাজ্যপালের শপথে কেন অনুপস্থিত? 'প্রতিহিংসার রাজনীতি,' ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু

রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা গেল না শুভেন্দুকে
রাজ্যের ২২ তম স্থায়ী সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ,  বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যারাও ছিলেন । রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধও। পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাঠান হয়েছিল  বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। মঙ্গলবার তাঁর কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছয়।  কিন্তু এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী সেখানে যাননি।  যদিও রাজ্যপালকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

রাজভবনে কেন গরহাজির শুভেন্দু?
রাজ্যপালের শপথগ্রহণ পর্বে উপস্থিত থাকতে না পারার বিষয়টি টুইটারে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে রাজ্যপালকে টুইটারে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। টুইটে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজভবনে বসার ব্যবস্থাপনা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রাজভবনে রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের পাশেই বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। এই দুই বিধায়ক একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। এখনও খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক হলেও বাস্তবে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের ঘনিষ্ঠতাই বেশি বলে দাবি পদ্ম শিবিরের। দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় তাঁদের বিরুদ্ধে বিধায়ক পদ খারিজের মামলা এনেছে বিজেপি শিবির। এমন অবস্থায় ওই দুই বিধায়কের পাশে শুভেন্দু অধিকারীর বসার ব্যবস্থা করায় বেজায় বিরক্ত বিরোধী দলনেতা।

এদিন টুইট বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেওয়ায় ডক্টর সিভি আনন্দ বোসকে আন্তরিক অভিনন্দন। এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগ। ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ এর সঙ্গেই একটি ছবি পোস্ট করেন শুভেন্দু। সেখানে দেখা যাচ্ছে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া দুই বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বিশ্বজিৎ দাসের আসন তাঁর জন্য নির্দিষ্ট করা আসনের পাশেই।

শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, পরবর্তী সময়ে তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে পৃথকভাবে দেখা করতে পারেন। শুভেন্দু নিজেও টুইটে লেখেন, ‘আমি অনুষ্ঠানে যোগ দেব না কারণ আমার পক্ষে এই ধরনের আপত্তিকর ব্যক্তিদের পাশে আসন গ্রহণ করা সম্ভব নয়। আমি মাননীয় রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছি যাতে কোনও এক সময় তাঁর সুবিধা অনুযায়ী আমাকে আলাদাভাবে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেন।’