নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে কলকাতার রাজপথে বিজেপির (BJP) মিছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ছড়াল উত্তেজনা। চলল 'চোর ধরো জেল ভরো' স্লোগান। দাহ করা হল কুশপুতুল।
নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে বিকেল চারটের কিছুটা পরে শুরু হয় বিজেপির মিছিল। রুবি মোড় থেকে গরিয়াহাট মোড়, যাদবপুর থানা, টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশন হয়ে কালীঘাটে গিয়ে পৌঁছায় মিছিল। তবে কালীঘাটে (Kalighat) পৌঁছাতেই মিছিলের চেহারা বদলে যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল যাওয়ার সময় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে চলে স্লোগানিং। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল যাওয়ার সময়ও পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। 'চোর ধরো জেল ভরো' স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পেরিয়ে ব্রিজে উঠে কুশপুতুল দাহ করে গেরুয়া বাহিনী।
তবে মিছিল সেখানেই থামেনি। এরপর মিছিল এগিয়ে যায় চেতলার দিকে। সেখানেও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim ) বাড়ির কাছেই চলে বিক্ষোভ ও স্লোগানিং। চেতলা মোড়ে রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদও জানান বিদেপি কর্মী সমর্থকেরা। প্রসঙ্গত, এদিন বিকেলের বিজেপির তরফে বাইক মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশের তরফে প্রথমে বাইক মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে পুলিশের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপির নেতৃত্ব। অবশেষে বাইক নিয়ে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয় পুলিশের তরফে।
প্রসঙ্গত এই প্রথম নয়, শহর কলকাতার (Kolkata) বুকে এর আগেও নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছে বিজেপি। এর আগে নবান্ন অভিযানের দিনও ব্যাপক উত্তাল হয়ে উঠেছিল পরিস্থিত। এদিনের মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul)। মিছিলে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন - 'ওঁকেই সাক্ষী হিসেবে ট্রিট করা হোক,' ফের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা কুণালের