নিউটাউনে ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার BSF জওয়ানের মৃতদেহ। ইকোপার্কের শুলংগুড়ি এলাকায় ওই জওয়ান একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকেই তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই জওয়ানের নাম সূর্যকান্ত দাস (৩৮)। বাড়ি ওড়িশায়। মাস খানেক আগে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন।
সোমবার সকালে ওই জওয়ানের পরিবারের সদস্যরা ভাড়া বাড়িতে আসেন। এসে ডাকাডাকি শুরু করলেও কেউ দরজা খোলেননি। তখন দরজা ভাঙা হয়। উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। খবর যায় ইকোপার্ক থানার পুলিশ। তাদের তরফে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের তরফে খবর দেওয়া হয় BSF-কেও। আধিকারিকরা আসেন। তাঁরা পুলিশকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সূত্রের খবর, হোয়াটসঅ্যাপে সুইসাইড নোট লিখে বাড়ির নম্বরে পাঠিয়েছিলেন সূর্যকান্ত। তা দেখেই জওয়ানের ভাই ও স্ত্রী এখানে আসেন। তবে এসে দেখেন এই পরিণতি।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, সুইসাইড নোটে মানসিক চাপের কথা উল্লেখ রয়েছে। যদিও গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইকোপার্ক থানার পুলিশ। সোমবার সকালে জওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হলেও এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও বিষয় রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। ওই মেসেজ জওয়ানই লিখেছিলেন কি না তারও তদন্ত শুরু হয়েছে।
ইকোপার্কে থানার গোবিন্দ মণ্ডলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সূর্যকান্ত। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। সকালে সেখানে এসেছিলেন মৃতের ভাই ও স্ত্রী। তাঁদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।