Advertisement

Adhir Chowdhury: 'বিজেপির সঙ্গে কথা বলে রেখেছেন, কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের অপেক্ষা', অধীরকে নিয়ে বিস্ফোরক TMC

তিনি আর প্রদেশ সভাপতি নেই, মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে এই নিয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। প্রসঙ্গত, সোমবার কংগ্রেস সদর দফতরে রাজ্যের সংগঠনের পরিস্থিতি নিয়ে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। ছিলেন বাংলার পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর। আলোচনা শুরুর আগেই হঠাৎ করে মীর অধীরকে লোকসভার প্রাক্তন দলনেতা এবং প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি হিসাবে উল্লেখ করেন। যারপরই হতাশা প্রকাশ করেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ।

অধীরকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর উক্তি তৃণমূল শিবিরের
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 31 Jul 2024,
  • अपडेटेड 5:15 PM IST

তিনি আর প্রদেশ সভাপতি নেই, মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে এই নিয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। প্রসঙ্গত, সোমবার কংগ্রেস সদর দফতরে রাজ্যের সংগঠনের পরিস্থিতি নিয়ে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। ছিলেন বাংলার পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর। আলোচনা শুরুর আগেই হঠাৎ করে মীর অধীরকে লোকসভার প্রাক্তন দলনেতা এবং প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি হিসাবে উল্লেখ করেন। যারপরই হতাশা প্রকাশ করেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ। আর এই আবহেই অধীর চৌধুরীকে এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির সুপ্রিমো রামদাস আঠাওয়ালে। আর এর পরেই অধীরের বিজেপি যোগ নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। 

সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন কুণাল ঘোষকে অধীর চৌধুরী প্রসঙ্গ প্রশ্নে করা হলে তৃণমূল নেতা বলেন, 'আমরা ব্যক্তিকে নিয়ে ভাবি না, ন্য দল নিয়ে ভাবতে যাব কেন, সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপিকে অক্সিজেন দিয়েছে, তার ফলে নিজেরাই শূন্য হয়ে গিয়েছে, লোকসভা ভোটে নিজেই তৃতীয় হয়েছেন।' এরপরই কুণালের বক্তব্য, ' রাজ্য বিজেপিতে যারা রয়েছেন তাদের দিয়ে চচ্চড়ি হবে, বিরিয়ানি নয়। গতিবিধি দেখে মনে হচ্ছে এক্সপালশনের জন্য অপেক্ষা করছেন, বিজেপির সঙ্গে কথা বলে রেখেছেন, বলতে পারব না।'

এদিকে তাঁকে হঠাৎ করে প্রদেশ সবাপতি থেকে ‘প্রাক্তন’ করে দেওয়ায় তৃণমূলের চক্রান্তও দেখছেন অধীর। বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ বলছেন , “তৃণমূলের অনেক নেতা প্রকাশ্যে বলেন, যে তাঁরা অধীর চৌধুরীকে কংগ্রেস থেকে বার করার ব্যবস্থা করেছি।” যদিও তিনি স্পষ্ট করে দেন, “নির্বাচনের আগেই হাইকমান্ডকে বলেছিলাম, রাজ্যে আমাদের দলকে তৃণমূল শেষ করে দিচ্ছে। তাই ভোটে লড়তে গেলে তৃণমূলকে (TMC) আক্রমণ করতেই হবে। সেই সময় সভাপতির তা ভাল না লাগায় তিনি দলত্যাগের কথাও বলেন। যা ভাল লাগেনি। এরপর যখন আমিও হেরে গেলাম, দায় নিয়ে পদত্যাগ করলাম।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত্রিবেলা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন অধীর চৌধুরী। উগরে দেন রাগের কথা। পরিষ্কার বলেন, “অন্যায়ের সঙ্গে আপস করতে শিখিনি, করবোও না…।” ফেসবুকে অধীর লেখেন, “আমাদের লোকদের মারছে, যে কর্মীরা রাতদিন তৃণমূলের হাতে মার খেলো,খাচ্ছে, তাদের জন্য আমরা বলবো না তো কে বলবে ?” অধীর এও  লেখেন, “শাসক তৃণমূল আমাদের দল ভাঙছে প্রতিদিন! ওরা তো ইন্ডিয়া জোটে সামিল হয়ে আমাদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করেনি। তৃণমূল তো এ রাজ্যের শাসক দল,তারা কি আমাদের কংগ্রেস কর্মীদের কোনও রকম রেহাই দিয়েছে? আজও জেলে বন্দি আমাদের কর্মীরা মিথ্যা মামলায় জর্জরিত। আমাদের পার্টি অফিস দখল করেছে…বিরাম নেই।” কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, “তাহলে সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কীভাবে চুপ করব? করলে আমার সেই সহকর্মীদের প্রতি অবিচার করা হবে! আমি পারব না।” অধীরের কথায়, যে কর্মীরা রাতদিন লড়াই করেছেন,দলের পতাকা নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গেও দিল্লি কথা বলুক। তাঁদের মতামতও জানা দরকার। তাঁদেরও দিল্লিতে ডাকা দরকার। তাঁর পরিষ্কার মন্তব্য, “আমি আমার সেই সকল সহকর্মীদের সঙ্গে রাস্তায় থাকব। আন্দোলনের পথে,অন্যায়ের সাথে আপোস করতে শিখিনি, করবও না।”

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement