অতি পরিচিত নেতার TMC-তে যোগ, উত্তরবঙ্গে বিরাট ভাঙন কংগ্রেসের

শঙ্কর মালাকার বলেন, '২০১৪ সাল থেকে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে, তারপর উত্তরবঙ্গে ওরা ছাড়খার করছে। কামতাপুর, গোর্খাল্যান্ডের লোভ দেখানো হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্যের লোভ দেখানো হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে সহজ সরল লোকজনকে লোভ দেখিয়ে ছারখার করছে। বিজেপির সঙ্গে লড়তে গেলে কংগ্রেস থেকে হবে না। তৃণমূলই পারে বিজেপির সঙ্গে লড়তে। আমি ১০ বছর বিধায়ক ছিলাম, মানুষেকে কোনও সেবা করতে পারিনি। শাসকদলে না থাকলে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া য়ায় না। মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছিলাম। যে উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে সামিল হয়ে আগামীদিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে কাজ করতে চাই। তৃণমূল শক্তিশালী হবে উত্তরবঙ্গে। বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারবে।' 

এদিকে, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগেই শঙ্কর মালাকারকে সাসপেন্ড করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। যদিও খোদ শঙ্কর মালাকারের দাবি, তিনি মঙ্গলবারই মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। প্রদেশ নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে শঙ্কর বলেন, 'অযোগ্য প্রদেশ কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে না। প্রদেশ নেতৃত্বের সেই ক্ষমতা ও যোগ্যতা নেই। আগামীকে মাটাগাড়া নকশালবাড়ি কেন্দ্রে বিজেপিকে হারাব। ১৫ বছর উত্তরবঙ্গের অবজারভার ছিলাম, তাই মাটি চিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টক্কর নেওয়ার ক্ষমতা কারও থাকবে না।' 

বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের আশানুরূপ ফল হয়নি। উত্তরবঙ্গের মাটিতে ভাল ফল করেছে বিজেপি। এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সংগঠন শক্তিশালী করার কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। কয়েকদিন আগেই চা-বলয়ের নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লাকে দলে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে উত্তরের প্রভাবশালী নেতা শঙ্কর মালাকারকেও দলে নিল। শঙ্কর মালাকারের রাজনীতিতে প্রবেশ কংগ্রেসের হাত ধরেই। মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক ছিলেন তিনি। ২০১১ ও ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন তিনি। তবে, ২০২১ সালে তিনি জিততে পারেননি। জিতেছেন বিজেপির আনন্দময় বর্মন।