১২ থেকে ১১৬! এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলায় করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। ৩০ মে, শুক্রবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে ৫৯ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও করোনার এই বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন। নজরদারি সার্বিক ভাবে বাড়ানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, মাথাব্যথা, জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে কলকাতা শহরের সরকারি এবং বেসরকারি একাধিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কোভিড রোগীরা। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন কারওই অবস্থা গুরুতর নয়। তবুও সতর্কতা হিসেবে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে তাঁদের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে অধিকাংশ জনেরই মৃদু উপসর্গ রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
সকলকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'দূরারোগ্য ব্যাধী যেন কারও প্রাণ না কাড়ে।'
এদিকে, দেশে নতুন করে বেড়েছে করোনার গ্রাফ। গত এক সপ্তাহে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়েছে ৫১১। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৭১০ জন।
৭ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশে। যা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এর মধ্যে দিল্লিতে এক ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। যাঁর ইনটেস্টাইনে ল্যাপ্রোটমি সার্জারি হয়েছিল সম্প্রতি। কর্নাটকে কোভিড আক্রান্ত ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। যাঁর ফুসফুসে গুরুতর সংক্রমণ ছিল। রক্তাল্পতা এবং থ্রম্বসাইটোপেনিয়া রক্তজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। মহারাষ্ট্রে যে ৬৭ বছর বয়সী বৃদ্ধের কোভিডে মৃত্যু হয়েছে তাঁর নিউমোনিয়া হয়েছিল। মহারাষ্ট্রে এক ২১ বছর বয়সী কোমর্বিড রোগীরও মৃত্য়ু হয়েছে করোনায়। পাঞ্জাবে ৩৯ বছর বয়সী মৃতের হেপাটাইটিস বি এবং ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল। তামিলনাড়ুতে মৃত্যু হয়েছে সুগার আক্রান্ত এক ৬০ বছরের বৃদ্ধের। তাঁর কিডনিতেও সমস্যা ছিল।
আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি কেরলে। সেখানে গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ২২৭ জন। কেবলমাত্র কেরলেই বর্তমানে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১ হাজার ১৪৭। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬, অসমে আক্রান্ত ২, দিল্লিতে আক্রান্ত ২৯৪, গুজরাতে ২২৩, হরিয়ানায় ২০, জম্মু-কাশ্মীরে ৪, কর্নাটকে ১৪৮, মধ্যপ্রদেশে ৪, মহারাষ্ট্রে ৪২৪, মিজোরামে ২, ওড়িশায় ৫, পুদুচেরিতে ৩৫, পঞ্জাবে ৪, তামিলনাড়ুতে ১৪৮, উত্তরপ্রদেশে ৪২ জন সক্রিয় কোভিড রোগী রয়েছে।