সোমবার থেকে উত্তর আন্দামান সাগরের উপরে অবস্থান করছে ঘূর্ণাবর্ত। ২২ অক্টোবরের মধ্যে তা থেকে তৈরি হতে পারে একটি নিম্নচাপ। এর পর ২৩ বা ২৪ অক্টোবর নাগাদ সেটা পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় এই এটাই মৌসম ভবনের পূর্বাবাস।
মৌসম ভবনের ভুবনেশ্বর শাখা থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নিম্নচাপ ক্ষেত্র তৈরি হবে দক্ষিণ পূর্ব এবং তার সংলগ্ন পূর্ব -মধ্য বঙ্গোপসাগরে৷ ২২ অক্টোবর নাগাদ নিম্নচাপে পরিণত হবে৷ এরপর সেটি পরিণত হতে পারে একটি সাইক্লোনিক স্টর্মে৷ এখনই তার তীব্রতা ও গতিপথ স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে আসন্ন ঘূর্ণিঝড়। ২০১৯ সালে ফণীর জেরে তছনছ হয়েছিল ওডিশার উপকূল। তেমনটাই হতে পারে এবারও। ওডিশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মাঝামাঝি জায়গায় স্থলভাগে আছড়ে পরতে পারে সিতরাং।
সব ঠিকঠাক থাকলে ২০১৮-র পর এই প্রথম অক্টোবর মাসে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে সিতরাং। ২০২০ সালে মৌসম ভবন ১৬৯ টি সম্ভাব্য ঝড়ের নামের তালিকা জারি করেছিল। সেই তালিকা অনুযায়ী শেষ ঘূর্ণিঝড়ের নাম অশনি। চলতি বছরের মে মাসে বঙ্গোপাসাগরে তৈরি হয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড়। এবার আন্দামান সাগরের নিম্নচাপ ঝড়ে পরিণত হলে তা এ বছরের দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে। আর সেই তালিকা অনুযায়ী আগামী ঘূর্ণিঝড়ের নাম সিতরাং। যে নাম থাইল্যান্ডের দেওয়া। এটি সে দেশে পদবী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আগে ঘূর্ণিঝড়ের নাম যেমন ইচ্ছা রাখা হত। তবে এখন আর তা হয় না। বিভিন্ন দেশ নাম রাখার সুযোগ পায়। আরব সাগর, বঙ্গোপসাগর ও উত্তর ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে মৌসম ভবন। ১৩টি দেশের কাছে পাঠানো হয় আগাম পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা। এই ঝড়গুলির নামকরণ করে ১৩ টি সদস্য৷ তারা হল-বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মলদ্বীপ, মায়নমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইয়েমেন৷