ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছেন রাজ্যের সরকারি কর্মী ও শিক্ষকদের একাংশ। সেই শহিদ মিনার (Shahid Minar) থেকে অবস্থান সরিয়ে দেওয়ার আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্র দ্বারস্থ সেনা। তাদের বক্তব্য, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও আন্দোলনকারীরা এখনও সেখানে বসে রয়েছেন। বিষয়টিতে আদালত হস্থক্ষেপ করুক।
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান শুরু করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু, সেই আন্দোলনের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল আদালত ৷ সেনার অভিযোগ, সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও বিক্ষোভস্থল ছাড়েননি আন্দোলনকারীরা ৷এই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত যেন হস্তক্ষেপ করে।
কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলনের অনুমতি দিয়েছিলেন। সেই বিচারপতির কাছেই আবেদন জানানো হয় সেনার তরফে।
এদিকে এই নিয়ে আন্দোলনকারী তথা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে তাঁরা কাজ করবেন। এই বিষয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'আমরা শুনেছি সেনার তরফে হাইকোর্টে যাওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ তারিখ বোধহয় শুনানি আছে। সেনা কোর্টকে জানিয়েছে, আমরা নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও শহিদ মিনারে বসে আছি। তবে আমরা জানাতে চাই, আমরা ওখানে বসে আছি মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে। হাইকোর্ট যদি বলে অন্য কোথাও উঠে যেতে তাহলে চলে যাব। তবে মামলা এখন বিচারাধীন। তাই এখন কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। মহামান্য হাইকোর্ট যেমন নির্দেশ দেবে, সেই মতো কাজ করব।'
প্রসঙ্গত, ডিএ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে নবান্নকে আলোচনায় বসার নির্দেশ ইতিমধ্যেই দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৭ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসার কথা সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্যের। তার মধ্যেই সেনা আবেদন করল সেনা।