রাজ্যের DA নিয়ে বড় আপডেট। শুনানি শেষ হয়েছে আগেই। বকেয়া ৩১% মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) সংক্রান্ত রিভিউ পিটিশনের রায়দান স্থগিত রেখেছিল মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট। এই রায়দান কবে হবে তার দিকে তাকিয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীরা। মিলল সুখবর। কালই এই মামলার রায় দেবে আদালত।
আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে কালই সকাল সাড়ে দশটায় কলকাতা হাইকোর্টে ৪ নং কোর্টে ডিএ সংক্রান্ত রিভিউ পিটিশনের রায় দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ডিএ নিয়ে হাইকোর্টে দুটি মামলা চলছে। একটি রিভিউ পিটিশন, অন্যটি আদালত অবমাননা। প্রথমটির রায়দান আগামী কালই। রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই বলে এসেছে, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে এই মামলার আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, আইনজীবী কল্লোল মণ্ডলেরা সাফ জানিয়েছেন, এই নিয়ে রাজ্যের তৃতীবারের রিভিউ পিটিশন। রাজ্য এখন সময় নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
মামলাকরী সরকারি কর্মী সংগঠনের আশা রায় তাদের পক্ষেই যাবে। তবে তাদের এও আশঙ্কা, এই মামলা সুপ্রিম কোর্টেও গড়াতে পারে। তার কারণ, ১৯ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই সময়ের মধ্যে DA মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। তারই মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনও করে বসে রাজ্য সরকার। সেই মামলার রায় দানই স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন : West Bengal Tourist Spot : যাওয়া-খাওয়া খরচ মাত্র ৫০০ টাকা, পুজোর মাঝেই ঘুরে আসুন এই ৩ টুরিস্ট স্পট
এই বিষয়ে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'রায় সরকারি কর্মীদের পক্ষেই যাবে। কারণ রাজ্য সরকার বারবার রিভিউ পিটিশন করছে। এতে সময় অপচয় হচ্ছে। তবে সরকার সময় নষ্ট করলেও তাদেরই এরিয়ার সহ সব টাকা মেটাতে হবে। আর ডিএ হল সরকারি কর্মীদের অধিকার। সেই অধিকার থেকে আমাদের কেউ বঞ্চিত করতে পারবে না। আমরা তৈরি আছি। মহামান্য আদালত যে রায় দেবে, মাথা পেতে নেব।'
এদিকে বিজেপি সমর্থিত সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল জানালেন, হাইকোর্ট তাঁদের পক্ষেই রায় দেবে এই ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত। তবে রাজ্য সরকার ফের দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। তবে সেখানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হারবে। সেজন্য আইনি পথে যা করার সরকারি কর্মচারি পরিষদ করবে।