বকেয়া ডিএ নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি সরকারি কর্মীদের একাংশ তথা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। পয়লা বৈশাখের দিন তাঁদের তরফে এই খোলাচিঠিকে হালখাতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে লেখা, 'শহিদ মিনারে এসে বকেয়া মিটিয়ে যান।'
সেই হালখাতায় প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। সেখানে লেখা, 'আজ এই পুণ্যলগ্নে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও সরকার পোষিত কর্মচারীদের বিগত ১২ বছর ধরে যে মহার্ঘ ভাতা বকেয়া আছে এবং শূন্যপদে নিয়োগ বকেয়া আছে, স্বচ্ছ ও স্থায়ী ভাবে নিয়োগের মাধ্যমে তা আমাদের বর্তমান বাসভবন শহিদ মিনারে এসে মিটিয়ে দিতে অনুরোধ করছি।’
প্রসঙ্গত, আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে শহিদ মিনার চত্বরে বকেয়া ডিএ-সহ মেটানো সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। স্কুল শিক্ষকরাও রয়েছেন সেখানে। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে তাঁরা অনশন করেছেন। তবে তাঁদের দাবি এখনও মেটায়নি রাজ্য সরকার। নিজেদের দাবি নিয়ে দিল্লিও গিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। কারণ আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবি আদায়ে ধর্নার পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পঞ্চম বেতন কমিশনের বকেয়া মেটানোর মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। গত ১১ এপ্রিল মামলার শুনানি থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ এপ্রিল। ২০২২ সালের মে মাসে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ?যায় রাজ্য। সেই এসএলপি-র শুনানির দিকে তাকিয়ে রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী।
আরও পড়ুন : ''৭৫ বছর বয়সেও ভরপুর এনার্জি', মুক্তকামের রহস্য ফাঁস কবীর সুমনের
যদিও তার আগে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়, যে হারে ডিএ চাইছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা সেই হারে ডিএ দিলে আর্থিক সংকট তৈরি হবে। যদিও সরকারি কর্মীদের দাবি, তাঁদের বঞ্চিত করে রাজ্য সরকার মেলা-খেলায় টাকা খরচ করছে। সেই টাকা যদি ঠিকমতো খরচ করত তাহলে সরকারি কর্মীরা এভাবে বঞ্চিত হতেন না।