বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে সরকারি কর্মচারিদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ। ডিএ পাওয়ার দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে একাধিক সংগঠন। সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে। এই পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের সরকারি কর্মচারি ইউনিয়নের দায়িত্বে আনা হল রাজ্যের প্রবীণ নেতা মানস ভুঁইয়াকে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার আগে ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমিত করতেই তৃণমূল কংগ্রেস এইন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
তারই পদক্ষেপ হিসেবে আগামী ৪ ডিসেম্বর মৌলালি যুব কেন্দ্রে পঞ্চায়েত স্তরের সরকারি কর্মীদের সম্মেলনে যোগ দেবেন মানসবাবু। এই বিষয়ে তিনি জানান, সরকারি কর্মচারিদের সংগঠনের সঙ্গে তিনি কোনওদিনই সরাসরি যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু দল তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছে সেই কারণে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন : ডিএ-র মোটা টাকা ঢুকবে সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের অ্যাকাউন্টে, অপেক্ষা আর কিছুদিনের ?
মানস ভুঁইয়া আরও জানান, বামফ্রন্টের কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং ১২ জুলাই কমিটি এখনও সক্রিয় রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে।
তিনি জানান, সরকারি কর্মচারীদের বাছাই করে একটা সুসংগঠিত ইউনিট তৈরি করা তাঁর লক্ষ্য। এছাড়াও ৪ ডিসেম্বরের সভা থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও কথা বলবেন।
গত বুধবার ডিএ-র দাবিতে একযোগে বিধানসভা অভিযানে নামে ২৭টি বাম সংগঠন। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বহু সরকারি কর্মী। ঘটনার জেরে গ্রেফতার হন ৪৭ জন আন্দোলনকারী।
সেই ইস্যুতে মানসবাবু বলেছিলেন, 'ডিএ নিয়ে অবহেলা করা হচ্ছে এমনটা নয়। একটা গেল গেল বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল অবধি ২৭ হাজার কোটি খরচ করেছি। আমরা দেওয়ার মন দিয়ে দিচ্ছি। সংবেদনশীল মন দিয়ে দিচ্ছি।'
এবার সেই মানস ভুঁইয়াকেই তৃণমূলের সরকারি কর্মচারি ইউনিয়নের দায়িত্বে আনা হল। এর আগে এই ইউনিয়নের দায়িত্বে ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।