ডিএ আন্দোলন নিয়ে ফের মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আজ রবিবারই রাজ্যপাল সি.ভি.আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আন্দোলনকারীরা। তার মধ্যেই আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করলেন ফিরহাদ। তাঁর গলায় শোনা গেল হুঁশিয়ারিও।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আমরা সব সময় চাই সরকারি কর্মীরা ভালো থাকুক। তাহলে আমরাই খুশি হব। তবে আমার কাছে যদি অর্থ না থাকে তাহলে আমার পেটে ঘুষি মারলেও টাকা বেরোবে না। এখন আন্দোলনকারীরা যে হারে ডিএ চাইছেন, সেই হারে যদি ডিএ দিই আর অন্য রাজ্যের মতো কেন্দ্রের মতো আমরাও পেনশন বন্ধ করে দিই, তাতে মানুষের বেশি ক্ষতি হবে, যারা আজ আন্দোলন করছেন, চাকরি করছেন তারাও তো একদিন অবসর নেবেন। তারাও তো পেনশন নেবেন। তাহলে ক্ষতিটা কাদের হবে?'
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, সরকারের তরফে আন্দোলনকারী বা অনশনরতচদের কোনও খবর নেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ে ফিরহাদ বলেন, 'এতে চিকিৎসক পাঠানো যায় না। নাটক আর আন্দোলনের মধ্যে তফাৎ আছে। সুপ্রিম কোর্টে কেস চলছে। সেখানে বিশ্বাস না করে আন্দোলনে নামলাম। এর অর্থ কী ? '
ফিরহাদের আরও দাবি, বিরোধী দলের নেতারা আন্দোলনের মঞ্চে যাচ্ছে, এতে আলোচনার সম্ভাবনা বাড়ছে না। বরং উল্টোটা হচ্ছে। তাহলে তো আন্দোলনের দরকারই ছিল না। সেটা না করে এরা আন্দোলন করছেন, অনশন করছেন। অনশন মানে তো ছবি তুলতে যাচ্ছেন। তাহলে যিনি ছবি তুলতে যাচ্ছেন তাঁকে আমি কী বলব ?'
প্রসঙ্গত, সরকারের তরফে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তাই এখন অনশন আন্দোলন প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এমনটাই জানান সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা। মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আন্দোলন করছে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। রবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন ৫ প্রতিনিধি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শনিবারই ডিএ জট কাটানোর জন্য আলোচনার ডাক দিয়েছিলেন। সরকার চাইলে তিনি মধ্যস্থতা করতেও রাজি বলে আন্দোলনকারীদের জানিয়েছেন রাজ্যপাল। রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পাঁচ সদস্য। ঘণ্টাখানেক ধরে চলে বৈঠক। রাজ্যপালের কাছে তিনটি দাবি জানায় তারা। বেরিয়ে এসে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি জানান,৩১ দিন ধরে লাগাতার অনশন চলছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বন্দোবস্ত করুন। ধর্মঘটের পরের দিন থেকে শিক্ষক, শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের উপর আক্রমণ করছে দুষ্কৃতীরা। এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা দরকার। ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কোনওরকম প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না।' তাঁদের আবেদন রাজ্যপাল সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করছেন বলে জানিয়েছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, সরকারের যথাযথস্তরে আন্দোলনকারীদের দাবি ও তাঁর পরামর্শ পাঠাবেন।