ডিএ-র আন্দোলন চলছে। অনশন প্রত্যাহার করলেও আন্দোলন চলবে বলে সাফ জানিয়েছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ তথা রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। এবার রাজ্যের বকেয়া ভাতা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেওলিয়া।
গতকাল শুক্রবার সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে কেন্দ্রীয় সরকার আরও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছে। ফলে এখন থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৪২ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। সেখানে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ৬ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে বিস্ফোর দাবি শুভেন্দুর। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করেছে, সেখানে দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রতারণা করে ৬ শতাংশ বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে ফারাক ৩৬ শতাংশ। ট্যুইটে অন্য রাজ্যের DA-র হারও তুলে ধরেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন : ডিএ : দেড় লাখ টাকা কম বেতন পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা, রইল হিসেব
অন্য রাজ্য কত শতাংশ হারে ডিএ দেয় তার তালিকাও দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে তাঁর পোস্টে উল্লেখ, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে এই রাজ্যের কর্মীরা কত কম ডিএ পাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন,কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক ৩৬ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, ডিএ আরও ৪ শতাংশ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে এবার থেকে ৪২ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। সেখানে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের দাবি, তাঁরা মাত্র ৬ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। এতে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বেতনের ফারাক এখন ৩৬ শতাংশ। রাজ্য়ের সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, ২০০৯ রোপা অনুযায়ী AICPI অনুযায়ী রাজ্য সরকার ডিএ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ফলে কেন্দ্রীয় কর্মীদের তুলনায় লাখ টাকা কম বেতন পাচ্ছেন।
এদিকে এদিন ৪৪ দিনের মাথায় ধর্মতলার অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলেন মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে আন্দোলন করা সরকারি কর্মচারীরা। তবে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে তাঁদের আন্দোলন আগের মতোই চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অনশন তুলে নেওয়ার কারণ হিসাবে কর্মীদের অসুস্থতার কথা জানান আন্দোলনকারীরা।