৫ বছর পর বঙ্গ বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির বসেছে বিলাসবহুল বৈদিক ভিলেজে। চিন্তন শিবিরের স্থান নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে- এত টাকা খরচ কি যুক্তিসঙ্গত? চিন্তন শিবির নিয়ে এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে তৈরি হল নতুন বিতর্ক। প্রশিক্ষণ শিবিরে কী নিয়ে আলোচনা হবে তা জানেনই না বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। দিলীপের এহেন দাবির পর স্বাভাবিকভাবে সুকান্তর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব দ্বন্দ্ব নিয়ে জল্পনা আরও জোরালো হল।
সোমবার সকালে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রণে বেরিয়ে দিলীপ বলেন,'আমি জানি না। পঞ্চায়েত নিয়ে নিশ্চয়ই হবে হয়ত। রাজনৈতিক পার্টির সম্মেলন যখন, তখন নিশ্চয়ই রাজনীতি এবং নির্বাচন আলোচনার বিষয় থাকবে। পুরো সূচি আমার জানা নেই।' প্রাক্তন দিলীপ ও অধুনা বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে মতানৈক্য বারবার প্রকাশ্যেও এসেছে। দিন কয়েক আগে হেস্টিংসে বিজেপির বৈঠকে সুকান্ত বেরিয়ে যাওয়ার পর ঢোকেন দিলীপ। ভুলে গেলে চলবে না প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি, অথচ তিনিই কিছু জানেন না!
বিলাসবহুল বৈদিক ভিলেজের ভাড়া অনেক টাকা। দলের অন্দরেই যা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। বিজেপি নেতারাই অভিযোগ করেছিলেন বহু কর্মী ঘরছাড়া। ভোট পরবর্তী হিংসায় বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে অনেকের। তাঁদের আর্থিক সাহায্য না করে কেন বিলাসবহুল জায়গায় প্রচুর টাকা খরচ করে চিন্তন শিবির করছে দল, প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির ভিতরেই। দিলীপ ঘোষের ব্যাখ্যা,'যাঁরা ঠিক করছেন, তাঁরা হয়তো যোগ্য জায়গা পাননি। এটা নিরিবিলি পেয়েছেন তাই হয়তো হচ্ছে। তবে ঠিক কী কারণে হচ্ছে তা আমাকে বলা হয়নি। আমাকে শুধু বলা হয়েছে ওখানে হবে। তবে হ্যাঁ, একসময় খুব বিতর্ক হয়েছিল বৈদিক ভিলেজ নিয়ে। এখন কী পরিবেশ আছে জানি না। তবে খরচ কে করে না? কোন পার্টি খরচ করে না? আমাদের অল ইন্ডিয়া মিটিংও বড় হোটেলে হয়েছে।'
২৯ থেকে ৩১ অগাস্টের প্রশিক্ষণ বৈঠকে যোগ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। থাকছেন দিলীপ, সুকান্ত, শুভেন্দুরা। পঞ্চায়েতের আগে বিজেপির সাংগঠনিক বিস্তার নিয়ে রণকৌশল তৈরি হতে পারে বৈঠকে।
আরও পড়ুন- নারদকাণ্ডে ফিরহাদ-মন্তব্যে কুণাল বললেন,'উনিই ভাল বলতে পারবেন'