আর ক'টা দিন। অক্টোবরে দুর্গাপুজো। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু দেবীপক্ষ। বাঙালির শ্রেষ্ঠ পার্বণের জন্য কোমর বাঁধছে পুজো কমিটি থেকে প্রশাসন। প্রতিবারই পুজো প্রস্তুতির সুর বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারো তার ব্যত্যয় হচ্ছে না। আগামিকাল, সোমবার রাজ্যের সব পুজো কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগের পুজো বৈঠকে হাজির থাকতেন কলকাতার পুজো কমিটির কর্তারা। এবার বৈঠকে ভার্চুয়ালি হাজির থাকবে জেলার পুজো কমিটিগুলিও। এই প্রথম কলকাতা ও জেলা পুজো কমিটির কর্মকর্তারা থাকবেন বৈঠকে। গত দু'বছর কোভিড পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ মেনে পুজো হয়েছিল। এবার কোভিডের বাড়বাড়ন্ত সেই মাত্রায় নেই। ফলে পুজো কীভাবে হবে, তা জানতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের অপেক্ষায় উদ্যোক্তারা। বৈঠকে থাকবেন কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। জেলা প্রশাসনিক কর্তারাও হাজির থাকবেন।
পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে অনুদান ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েক বছর ধরে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান পাচ্ছে কলকাতা-সহ জেলার পুজো কমিটিগুলি। এবার হয়তো ৫০ হাজার টাকার অনুদান ঘোষণা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার উপরে আসন্ন দুর্গাপুজো আরও একটি কারণে তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গের শারদোৎসবকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। রাজ্য সরকার তাই বড় করে পুজোর প্রচার করতে চলেছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, পুজো কাটলেই পঞ্চায়েত ভোটের তাল ঠোকা শুরু হয়ে যাবে। আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে। তার আগে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার পরিমাণ ৫০ হাজার হবে না আরও বাড়বে, সেদিকে তাকিয়ে পুজো কমিটিগুলি।
আরও পড়ুন- শ্রাবণের ঘাটতি মিটল ভাদ্রে, নিম্নচাপ সরলেও বৃষ্টিপাত, আর ক'দিন?