বিড়ম্বনা বাড়ছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee)। বুধবার তাঁর আরও একটি ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি-র (ED) আধিকারিকর। সূত্রের খবর, এই ফ্ল্যাট থেকেও বড়সড় পরিমানে টাকা উদ্ধার হয়েছে। আর এবারেও অর্থের পরিমান এতোটাই যে টাকা গোনার মেশিন আনাতে হয়েছে ইডিকে। এদিন অর্পিতার ক্লাব টাউনের অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালান তদন্তকারীরা। তবে সেখানে ঠিক কত পরিমান টাকা রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় প্রায় ২২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এছাড়াও বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিদেশি মুদ্রা, প্রচুর মোবাইন ফোন ও বেশকয়েকটি সংস্থার নথিপত্র।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করেছে ইডি। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার ঘর থেকে উদ্ধার কালো ডায়ের নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। জানা গিয়ছে Department of Higher And School Education-এর ওই ডায়েরিতে মোট ৪০টি পাতা রয়েছে। তাতে বেশকিছু বিষয় লেখাও রয়েছে। তদন্তকারীর মনে করছেন এই ডায়েরি থেকে দুর্নীতি সংক্রান্ত বহু তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
এছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। সেক্ষেগ্রে গ্রুপ ডি নিয়োগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। যদিও এখনও পার্থ তদন্তে সেভাবে সহযোগিতা করছেন না বলেই দাবি ইডির। অনেক প্রশ্নের জবাবেই তিনি 'জানি না' বলে উত্তর দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলে ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সেই টাকা অর্পিতা যে সমস্ত সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেখানে বিনিয়োগের পরিকল্পনা ছিল। এমনকী সেই নগদ টাকা ২-১ দিনের মধ্যে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার চিন্তাভাবনাও করা হয়েছিল। যদিও তার আগেই অভিযান চালায় ইডি।
আরও পড়ুন - '৩৮ জন TMC MLA ভাল সম্পর্ক রাখছে, ২১ জন...', কলকাতায় বিস্ফোরক মিঠুন