মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের উপস্থিতিতে নাম না করে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালকে নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় মুখ্যসচিবের ভূমিকায় বিরক্ত CEO। লোকপাল আইন অনুযায়ী, হলফনামা ছাড়া কোনও সরকারি কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায় না। মুখ্যসচিবের সে আইন জানা উচিত বলেই মনে করছে কমিশন। কীভাবে তাঁর উপস্থিতিতে CEO-কে আক্রমণ করা হল, তা নিয়ে প্রশ্নও তোলা হয়েছে কমিশনের তরফে। এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখানেই তিনি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালকে নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। তিনি বলেন, 'সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিশনকে বসিয়ে রেখে এখান থেকে যিনি CEO হিসেবে (মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক) গিয়েছেন, তাঁর যার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেগুলি সময় হলে বলব। এখন বলছি না। আশা করি তিনি বেড়ে খেলবেন না। মানে ওভার রিয়্যক্ট করবে না। উনি বড্ড বেশি অফিসারদের থ্রেট করছেন। নিজে নানা অভিযোগে দুর্নীতিগ্রস্ত।' এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনোদ আগরওয়ালের নাম না করেই বলেন, 'SIR-এর নামে ভোট কাটার চক্রান্ত চলছে। অসম সরকার কি করে বাংলার নাগরিকদের NRC-র নোটিশ পাঠাতে পারেন? SIR-এর কাজ শুরু হওয়ার আগে BJP-র একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কি করে বলেন, দেড় কোটি ভোটারকে বাদ দিতে হবে? তার মানে কি পার্টি অফিসে বসে তৈরি করছে SIR? আর ইলেকশন কমিশন স্টাম্প মারবে?'
আর এরপরেই মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে শুক্রবার দুপুর ১টায় নির্বাচনে কমিশনে যান শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুধু শুভেন্দুই নন BJP-র পরিষদীয় দলের ৯ জন বিধায়কও উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। শুভেন্দু বলেন, 'উনি যদি সোমবারের মধ্যে মনোজ আগরওয়ালের দুর্নীতি প্রকাশ করতে না পারেন তাহলে আপনার IAS, IPS অফিসারদের, আপনার TMC স্টাফদের দুর্নীতি আমরা... আজকে কিছুটা বললাম, বাকিটাও ভবিষ্যতে বলব।' এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে ডেডলাইন বেঁধে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রিপোর্টারঃ সুজয় ঘোষ