৮০ বছরের পুরানো হাওড়া ব্রিজের বিটুমিনাস রাস্তা মেরামতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট ওই কাজ এপ্রিলেই শেষ করতে চায়। কয়েকদিন আগে কলকাতা পুলিশের কাছে একটি চিঠিতে, বন্দর ট্রাস্টের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করার জন্য ২৭টি কার্যদিবস চেয়েছেন। বিটুমিনাস পৃষ্ঠের নীচে কংক্রিটের ডেক স্ল্যাবগুলি মেরামত করার কথা বলা হয়েছে। যেখানে ফাটল দেখা দিয়েছে। .
১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু হওয়া সেতুটির রাস্তার পৃষ্ঠটি কয়েক বছর ধরে বিরতিহীন মেরামতের সাক্ষী হয়ে আসছে। যার ফলে বিটুমিনের স্তরগুলি জমেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিটুমিনের অতিরিক্ত স্তরগুলি কাঠামোর "ডেড লোড" বাড়াচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ারদের মতে ডেড লোড হল স্টিলের কাঠামোর মতো সেতুর অস্থাবর এবং স্থায়ী অংশগুলির ওজন। পুলিশকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে যে, সেতুর রাস্তার পৃষ্ঠটি বেশ কয়েক বছর ধরে ওভারহল করা হয়নি। তাই কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট "রবীন্দ্র সেতুর ডেক পৃষ্ঠের" পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেরামত করতে চায়।
আরও পড়ুন-দমদমে মাটি খুঁড়তেই মিলল সিরাজউদ্দৌল্লার আমলের বিশাল কামান, দেখুন
চিঠিতে বলা হয়, পর্যায়ক্রমে কাজ শেষ করতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। স্ট্রাকচারাল ও সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা জানান, ক্যান্টিলিভারড সেতুর আয়ু বাড়াতে মেরামত করা জরুরি। কয়েক দশক ধরে বিটুমিনের স্তর যুক্ত করাকে সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়। রাস্তায় প্রলেপ পড়তে পড়তে সেতু ভারী হয়ে ওঠা বিপজ্জনক হতে পারে। হাওড়া ব্রিজের দুটি টাওয়ারের মধ্যে ১,৫০০ ফুট লম্বা এবং ক্যারেজওয়ে ৭১ ফুট চওড়া। পথচারীদের জন্য ফুটপাথ প্রতিটি ১৮.৫-ফুট-চওড়া। ৭৮টি হ্যাঙ্গার রয়েছে।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ব্রিজের কংক্রিটের ডেক সারফেস এবং এর দুটি অ্যাপ্রোচ মেরামতের ওয়ার্ক অর্ডার হয়েছে। পুরো প্রকল্পের আনুমানিক খরচ হবে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। কলকাতা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পোর্ট ট্রাস্ট এপ্রিলের শেষের দিকে কাজ শেষ করতে চেয়েছিল। এটি মেরামতের জন্য পর্যায়ক্রমে ট্র্যাফিক বন্ধ করতে হবে। কাজের জন্য রাতে ট্রাফিক ব্লক করা হবে। ডেক স্ল্যাবের কংক্রিটের পৃষ্ঠে ফাটল দেখা দিলে, সেই অংশটি মেরামত করতে তাদের তিন দিন সময় লাগবে।