আবারও কলকাতা থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ অর্থ। সোমবার পার্ক স্ট্রিটে একটি গাড়ি থেকে নগদ প্রায় ১ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশ। পার্ক স্ট্রিটে একটি অফিসেও তল্লাশি অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের যৌথ দল। ঘটনায় আটক এক ব্যক্তি। তিনি নিউ আলিপুরের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ অভিযান চালানো হয়। পার্ক স্ট্রিটে একটি গাড়িতে তল্লাশি চালান পুলিশ কর্মীরা। উদ্ধার করা হয় বিপুল টাকা। প্রায় ১ কোটি টাকা মতো নগদ ছিল গাড়িতে। কোথা থেকে এল এত টাকা তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জবাব মেলেনি। কোনও নথিও দিতে পারেননি মালিক রাজেশ কাসেরা। কী কারণে এত নগদ টাকা তিনি নিয়ে যাচ্ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চলতি মাসে কলকাতায় টাকা উদ্ধার করেছে লালবাজার। দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাটে একটি গাড়িতে পাওয়া গিয়েছিল বান্ডিল বান্ডিল নোট। উদ্ধার করা হয় নগদ ১ কোটি টাকা। ওই ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছিল পুলিশ। তার আগে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে বালিগঞ্জের একটি বেসরকারি অফিসে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
তবে কলকাতায় টাকা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল গত বছর জুলাইয়ে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। টালিগঞ্জে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগদ ২১ কোটি টাকা। ২৭ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে। গত সেপ্টেম্বরে গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি এবং তাঁর নিউটাউনের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১৭ কোটি। জানুয়ারিতে মহাত্মা গান্ধী রোডের কাছে কপিলচরণ বেহারা নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয় নগদ ১২ লক্ষ টাকা। তাঁকে জেরা করে রবীন্দ্র সরণির অফিসে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় নগদ প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা। চলতি মাসে বালিগঞ্জ থেকে কোটি টাকা উদ্ধার হয়।