মঙ্গলবার তৃণমূলের সংখ্যালঘু বিধায়কদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন, ক্ষমতায় আসার পর চ্যাংদোলা করে বিধানসভা থেকে রাস্তায় ফেলে দেবেন। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুভেন্দুকে পাল্টা দিলেন তৃণমূলের ভরতপুরের বিধায়র হুমায়ুন কবীর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে ক্ষমা চাইতে হবে। সেজন্য ৭২ ঘণ্টা সময়ও দিলেন তিনি।
বুধবার হুমায়ুন কবীর বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারী নিজেকে বড় নেতা ভাবছেন। আমি শুভেন্দুকে ৭২ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। উনি মুসলিম বিধায়কদের রাস্তায় ফেলে দেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু আমি বলছি, শুভেন্দুর অত ক্ষমতা নেই যে মুসলিম বিধায়কদের উনি চ্য়াংদোলা করে ছুড়ে ফেলে দেবেন।'
এরপরই হুমায়ুনের চ্যালেঞ্জ, 'আমি একজন মুসলিম এলএলএ হিসেবে আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি, এই ৪২ জন বিধায়ক আপনাকে বিধানসভার ভিতরে, আপনার যে ঘর সেখানে বুঝে নেব। আপনি মন্তব্য প্রত্যাহার করুন। না হলে আমরাও বুঝে নেব।'
মুর্শিদাবাদে গেলে শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে নেবেন বলেও আক্রমণ করেন হুমায়ুন। বলেন, 'উনি তো শুধু পূর্ব মেদিনীপুরের বিরোধী দলনেতা নন। গোটা রাজ্যের। যেদিন মুর্শিদাবাদে যাবেন সেদিন বুঝিয়ে দেব, মুসলমানের শক্তি কতটা। উনি মুসলিম বিধায়কদের অপমান করবেন আর আমরা কি ওঁকে রসোগোল্লা খাওয়াব?'
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, আগামী বিধানসভা ভোটে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাব। আর ওঁদের দলের যে সব মুসলিম বিধায়ক জিতে আসবে তাঁদের চ্যাংদোলা করে ১০ মাস পরে এই রাস্তায় ফেলব।'
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর মুসলিম বিধায়ক মন্তব্যের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বলেন, 'যেভাবে একটা ধর্মকে আক্রমণ করা হচ্ছে, যেভাবে মুসলিম ধর্মের নাম করে বিরোধী দলনেতা আক্রমণ করছেন, তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিরোধী দলনেতা সাসপেন্ডেড। কিন্তু বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি যে মন্তব্য করছেন, তাও বিরোধী দলনেতার মন্তব্য হিসেবেই ধরতে হবে।'