Advertisement

সন্দেহ পরকীয়ার! চিৎপুরে স্ত্রীকে খুন করে থানায় হাজির স্বামী

পরপুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর। এই সন্দেহের জেরেই সংসারে অশান্তি। আর তার ফলশ্রুতি স্ত্রীকে নিজের হাতে খুন করল স্বামী।

 সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী
রাজেশ সাহা
  • কলকাতা,
  • 08 Jul 2021,
  • अपडेटेड 5:21 PM IST
  • সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী
  • চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর কলকাতায়
  • স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ স্বামীর

পরপুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত  সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর।  এই সন্দেহের জেরেই সংসারে অশান্তি। আর তার ফলশ্রুতি স্ত্রীকে নিজের হাতে খুন করল স্বামী। এখানেই থেমে নেই ঘটনা। এরপর থামায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করলেন অভিযুক্ত স্বামী। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে উত্তর কলকাতার চিৎপুরে।

 

 

আরও পড়ুন

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে  বৃহস্পতিবার বেলা একাগোরটা নাগাদ সঞ্জয় দাস নামে এক ব্যক্তি চিৎপুর থানায় হাজির হন। এরপরেই  তিনি  দাবি করেন, স্ত্রীকে   নিজের হাতে খুন করে এসেছেন। ডিউটি অফিসারের কাছে নিজেই কবুল করেন খুনের কথা। মধ্য বয়স্ক এক ব্যক্তির মুখে নিজের হাতে  স্ত্রীকে খুনের কথা শুনে তখন রীতিমতো তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন চিৎপুর থানার কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর অভিযুক্ত নিজেই পুলিশকে জানান কোথায় স্ত্রীর দেহ পড়ে আছে। এমনকি দেহ দেখানোর জন্য পুলিশকে তার সঙ্গে যেতেও অনুরোধ করেন। এরপরেই চিৎপুর থানার পুলিশ বাহিনী ওই ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হয় ২১ নম্বর রাজা মহিন্দ্র রোডে তার বাড়িতে। দেখা যায়, ঘরের এক কোণায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে  সঞ্জয় দাসের স্ত্রীর দেহ। 

সঞ্জয় দাসের স্ত্রীর নাম মুনমুন দাস। তাকে প্রথমে গলায় ফাঁস দিয়ে এবং পরে  মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলাটিপেও খুন করা হয়েছে।  পুলিশকে এমনটাই জানান সঞ্জয় দাস। সঞ্জয় দাস  পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে অশান্তি লেগে ছিল তাদের সংসারে। তাদের আঠেরো বছর বয়সী একটি ছেলেও রয়েছে। তবুও স্ত্রীর অন্য সম্পর্ক নিয়ে স্বামীর মনে সন্দেহ ছিল। এদিন সেই সন্দেহের জেরেই স্ত্রীকে খুন করেন তিনি। এরপরই স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে সঞ্জয় দাসের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে গ্রেফতার করে চিৎপুর থানার পুলিশ। সঞ্জয়ের স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।

 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement