রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (C V Ananda Bose) সচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে নন্দিনী চক্রবর্তীকে (Nandini Chakraborty)। খোদ রাজ্যপালই সচিব বদলের ইচ্ছা নবান্নের কাছে ব্যক্ত করেছেন বলে খবর। তবে একবছরও হয়নি রাজভবনে রাজ্যপালের সচিব পদে কাজ করছেন আইএএস অফিসার নন্দিনী। তাই বিষয়টি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
আগের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাঁর সময়কার সচিব সুনীল গুপ্তকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছেন। তিনি বর্তমানে উপ রাষ্ট্রপতি ধনখড়ের সচিব। তারপর থেকে রাজভবনে রাজ্যপালের সচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন নন্দিনী। কিন্তু অকালেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। কারণ হিসেবে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, নন্দিনী চক্রবর্তী সরাসরি রাজ্য সরকারের হয়ে রাজভবনকে পরিচালিত করছেন, এমনটাই অভিযোগ উঠছে তাঁর ওপর।
শনিবার সকালে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বৈঠক হয়। রাজভবন সূত্রে খবর, সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে আনন্দের। তার আগের রাতেই নন্দিনীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যপাল নবান্নকে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজভবন বা নবান্নের তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
আনন্দ রাজভবনে আসার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে শাসক তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ওঠে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, এই ঘনিষ্ঠতার পিছনে নন্দিনীর ভূমিকা রয়েছে। এর পর থেকেই সরব হয় রাজ্য বিজেপি। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, এই বিষয়ে খোঁজ নেয় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। রাজ্যপালের শপথ, সরস্বতী পুজোর দিনে ‘হাতেখড়ি’, সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজের অনুষ্ঠান থেকে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে ভাষণ— এ সবই নিয়ে নানা অভিযোগ তোলে বিজেপি। মূলত সরব হন শুভেন্দু। প্রথম দিকে বিষয়টা নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চুপ থাকলেও পরে শুভেন্দুর অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।
উল্লেখ্য, নন্দিনী ১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার। অতীতে রাজ্যের বহু গুরুত্বপূর্ণ দফতের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠলেও অতীতে তাঁর সঙ্গে মমতার দূরত্ব তৈরি হওয়ার কথাও শোনা যায়। যদিও ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর নন্দিনী শিল্পোন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও তথ্য-সংস্কৃতি সচিবের মতো গুরুদায়িত্ব তিনি এক সঙ্গে সামলেছেন। পরে পাঠানো হয় স্টেট গেজ়েটিয়ারের এডিটর পদে। সেখান থেকে সুন্দরবন উন্নয়ন।