তথ্যচিত্র 'কালী'র বিতর্কিত পোস্টার নিয়ে পরিচালক লীনা মণিমেকলাইয়ের পাশে দাঁড়ালেন মহুয়া মৈত্র। মনে করিয়ে দিলেন, বাংলায় কী ভাবে পূজিত হন দেবী। মঙ্গলবার ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ইস্টে তৃণমূল সাংসদ বলেন,'হিন্দু ধর্মে নিজের মতো করে কালীকে কল্পনা করার স্বাধীনতা রয়েছে। এই স্বাধীনতায় কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না।'
গত ২ জুলাই কালীর একটি পোস্টার টুইট করেন কানাডা নিবাসী চিত্র পরিচালক নীলা মণিমেকলাই। ওই পোস্টারে দেখা গিয়েছে,দেবী সিগারেট খাচ্ছেন। আর এক হাতে সমকামীদের রঙিন পতাকা। ওই ছবি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে এফআইআর। কানাডা-স্থিত ভারতীয় দূতাবাস ওই পোস্টার সরিয়ে নেওয়ার জন্য আয়োজকদের অনুরোধও করেছে। এনিয়ে মুখ খুললেন মহুয়া মৈত্র। পাশে দাঁড়ালেন মণি মেকলাইয়ের।
তৃণমূল সাংসদের কথায়,'ঈশ্বর নিয়ে নানা মানুষের নানা রকম মত রয়েছে। আপনি ভুটান বা সিকিমে গেলে দেখবেন ঈশ্বরকে সকালের পুজোয় হুইস্কি দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশে গিয়ে যদি বলেন প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি দেওয়া হচ্ছে, লোকে আঁতকে উঠবেন। আমার কাছে কালী মাংসভোজী, অ্যালকোহল খান এমন দেবী। তারাপীঠে গেলে দেখবেন সাধুরা ধূমপান করছেন। কালীর এই রূপকে আমরা পুজো করি।' তিনি আরও বলেন,'হিন্দু ধর্মে নিজের মতো করে কালীকে কল্পনা করার স্বাধীনতা রয়েছে। এই স্বাধীনতায় কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ঠিক যেমনভাবে আপনি নিজের ঈশ্বরকে নিরামিষভোজী, সাদা কাপড় পরিয়ে আরাধনা করতে পারেন।'
তাহলে নুপূর শর্মা গ্রেফতারি কেন চাইছেন? মহুয়ার জবাব,'নূপুর শর্মাও যা বলেছেন সেটা বলতে চাই না। ৫০ বছর আগে ১৩ থেকে ১৪ বছরের মেয়েকে বিবাহের চল ছিল। তা বলে এটা কেউ বলতে পারেন যে তিনি শিশুধর্ষক! দু'টো জিনিস এক নয়। কালী পোস্টার নিয়ে বললে হিন্দুবিরোধী হয় না।'
জুবেইরের গ্রেফতারির প্রতিবাদ করছেন। অন্যদিকে, নূপুর শর্মার গ্রেফতারির দাবি করছেন। এমন দ্বিচারিতা কেন? দু'টি ঘটনার মধ্যে ফারাক আছে বলে দাবি করলেন মহুয়া। তাঁর কথায়,'দু'টোর মধ্যে ফারাক করতে পারছে না সংবাদ মাধ্যম। এটা বিজেপিকে সাহায্য করছে। একটা ঘটনায় ভুয়ো মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ফ্যাক্টচেকার। কোনও রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র নন। জুবেইর ঋষিকেশ মুখার্জির একটি ছবি থেকে পোস্টার নিয়েছিলেন- হনুমান বনাম হানিমুন। সেটা ২০১৮ সালের। একটাও হিংসা বা দাঙ্গা হয়েছে? কে অভিযোগ করেছে? ২০২১ সালের অক্টোবরে দিল্লি পুলিশের এসআই অমিত কুমার স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করেন। আর নুপূর শর্মা উস্কানি দিয়েছেন। দু'টি ঘটনা কি এক?'
.আরও পড়ুন- 'কালী' পোস্টার এবার আসরে কেন্দ্র, কানাডা সরকারকে যা বলল..