যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। বুধবারই মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেয় তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলি পথে নেমেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এবিভিপির অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল যাদবপুরে। সেই বিক্ষোভেই যোগ দিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাজির হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। আর এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই ফের রণক্ষেত্র যাদবপুর। বিজেপি-আরএসএফ সংঘর্ষে ঝরল রক্তও।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এবিভিপির অবস্থান বিক্ষোভে হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্থানীয় সূত্রের খবর, সভা শেষে শুভেন্দু অধিকারী বেরিয়ে যেতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে রেভিলিউশন স্টুডেন্টস ফ্রন্টের সঙ্গে এবিভিপির সংঘর্ষ বেঁধে যায় । ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন বলেই দাবি করা হচ্ছে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হয়েছে দু’পক্ষই।
এদিকে বুধবার ব্রাত্য বসু-সহ ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল দল যাদবপুরের মৃত ছাত্রের বাড়িতে দেখা করতে যান। এদিন এবিভিপির অবস্থান বিক্ষোভে উপস্থিত হয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, 'আগামীকাল মৃত ছাত্রের বাড়িতে যাব, সঙ্গে থাকবে ১৫ জন বিধায়কের দল, ছাত্রে পরিবার চাইলে আইনি লড়াই লড়বে বিজেপি।' তিনি আরও বলেন, 'পুলিশের ওপর ভরসা নেই। যাদবপুরে ৩-৪টি সংগঠন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে বি-টিম। যাদবপুর থেকে ব্লিচিং-ফিনাইল দিয়ে এদের পরিষ্কার করতে হবে। এদেরকে উপড়ে ফেলব।' একইসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মৃত ছাত্রের নাম নেওয়ায়, রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ার পার্সন সুদেষ্ণা রায়ের কাছে তাঁকে নোটিশ দেওয়ার দাবি জানান বিরোধী দলনেতা। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, 'বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে হিসেব বুঝে নেবে বিজেপি। সুদেষ্ণা যদি কালকের মধ্যে নোটিশ না করেন, তাহলে কাল থেকে সবাই নাম বলব, ছবি বুকে নিয়ে ঘুরব, যা পারেন করবেন।'
এদিকে এদিন সভার শেষে যখন ৮বি বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগোচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঠিক সেই সময় তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। এরপর শুভেন্দু অধিকারীকে কালো পতাকা দেখায় আরএসএফ। যার জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু'পক্ষের মধ্য শুরু হয় ধস্তাধস্তি-মারমারি।