রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Education Minister Bratya Basu) এজলাসে ডেকে পাঠানো হতে পারে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্যে সেই জল্পনা উস্কে গিয়েছে।
এদিন নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের একটি মামলার শুনানিতে এসএসসির আইনজীবীর একটি কথার প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘হয়তো জানা যাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদই আসল কালপ্রিট। যদি পর্ষদ কিছু করতে না পারে, তাহলে শিক্ষামন্ত্রীকে ডেকে পাঠাতে হবে।’
শুক্রবার নবম-দশম শ্রেণিতে ভুয়ো নিয়োগপত্র বাতিলের জন্য বিচারপতির কাছে বার বার অনুরোধ করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী। যা নাকচ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু ফের পর্ষদের আইনজীবী আবেদন করায় কার্যত বিরক্ত হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পর্ষদের নিয়োগ বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে। তা তারা প্রয়োগ করুক। আদালত অতিরিক্ত কোনও শব্দ নির্দেশনামায় লিখবে না।
আরও পড়ুন- ভাটপাড়ার ভাইস চেয়ারম্যান ৮ পাস? আইনজীবীকেই জরিমানা হাইকোর্টের
নিয়োগপত্র দেওয়ার বা বাতিল করার ক্ষমতা পর্ষদের হাতে। এই প্রেক্ষিতে শুত্রবার আদালতে পর্ষদের বক্তব্য, যে হেতু অযোগ্যদের চিহ্নিত করে বাদ দিতে বলেছে হাইকোর্ট, সে ক্ষেত্রে ওই ৮১ জনের ক্ষেত্রেও নিয়োগপত্র বাতিলের নির্দেশ দিক আদালত। কিন্তু তা নাকচ করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদকে বিচারপতি জানান, ৮১ জনের চাকরি বাতিল হচ্ছে, এমন কিছু তিনি নির্দেশনামায় লিখবেন না। কারণ তিনি নির্দিষ্ট করে কারও নাম নিয়ে কিছু বলেননি। তিনি শুধু নির্দেশ দিয়েছিলেন, ভুয়ো প্রার্থীদের চিহ্নিত করুক কমিশন।
তবে এদিনের শুনানিতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-শীতেও কমেনি ডেঙ্গির দাপট! বৃহস্পতিবার রাজ্যে আক্রান্ত ৬২ জন