কসবা ল কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মূল অভিযুক্তের তৃণমূল ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ্যে আসতেই আসরে নামেন বিরোধীরা। শনিবার এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের তীব্র সমালোচনা করলেন অগ্নিমিত্রা পল। রাজ্যের বিজেপি সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়কর অভিযোগ, 'এই ঘটনা নতুন কোনও ধর্ষণের ঘটনা নয়, বরং রাজনীতির নামে সংগঠনের ভিতরে কীভাবে মেয়েদের নিপীড়িত হতে হয়, তার নগ্ন দলিল।'
অগ্নিমিত্রার দাবি, কলেজের ‘ইউনিয়ন রুম’ ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একচ্ছত্র দখলে। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাতেই কি ‘শিক্ষা’? প্রশ্ন তোলেন অগ্নিমিত্রা। তিনি আরও বলেন, 'এই কি ছাত্র রাজনীতি? এই কি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মুখ?'
অগ্নিমিত্রার মতে, এই ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কাঠামো ও ক্ষমতার অপব্যবহার প্রকট।
অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, 'মুখ্যমন্ত্রী একদিকে 'নারীই শক্তি', 'কন্যাশ্রী', 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-এর প্রচার করেন, অন্যদিকে নিজের দলের ছাত্রী নেতা ধর্ষণের শিকার হলেও তিনি নীরব দর্শক।' তাঁর কথায়, 'নিজের দলের মেয়ের সঙ্গে যদি এমন ব্যবহার হয়, সাধারণ মেয়েদের কী অবস্থা হবে? তৃণমূল কি এখন মেয়েদের শত্রু হয়ে উঠেছে?'
তিনি আরও বলেন, 'এই ‘দাদাগিরি’র সাহস আসে কোথা থেকে? কে তাদের এই সাহস দেয়? মেয়েরা কি কেবলমাত্র ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার হচ্ছেন?'
ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অগ্নিমিত্রা। তাঁর বক্তব্য, “আপনার মেয়ে কি এই দাদাদের রাজ্যে নিরাপদ? সিদ্ধান্ত আপনার—মেয়েকে বাঁচাবেন, না দাদাদের রক্ষা করবেন?'
প্রসঙ্গত, শুক্রবারও অগ্নিমিত্রা এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, 'তৃণমূলের নেতারা নারীদের ভোগ্যপণ্যের চোখে দেখেন। তাঁদের মনে হয়, কন্যাশ্রী আর ভাণ্ডার দিলেই সব করা যায়। মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়েও বারবার নির্যাতনের ঘটনায় চুপ থাকেন, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।'