কসবার একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার একই পরিবারের তিনজনের দেহ। মৃতদের নাম সরজিৎ ভট্টাচার্য, গার্গী ও আয়ুষ্মান। ৫০ নম্বর রাজডাঙা গোল্ড পার্কের ওই ফ্ল্যাটবাড়ির তৃতীয় তলায় থাকতেন তাঁরা। গৃহকর্তা সরজিতের বয়স ৭০ এর আশপাশে। তাঁর স্ত্রী গার্গীর ৬৮ ও সন্তান আয়ুষ্মানের ৩৮। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তিনজনেরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকে তিনতলার বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরোতে দেখেননি অন্য ফ্ল্যাটের লোকজন। তাঁদের তরফেই কসবা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। ওই ফ্ল্যাটের কোলাবসিবল গেট ও কাঠের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। পুলিশের তরফে তা ভেঙে ফেলা হয়। দেখা যায় লিভিংরুমের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে গৃহকর্তা সরজিৎ ভট্টাচার্যের দেহ। পাশের ঘরে অন্য দুজনের।
দেহ তিনটি উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত হওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। হোমিসাইড স্কোয়াড, ডিডি-র অফিসাররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কীভাবে তিনজনের মৃত্যু হল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। গেট ও দরজা যেহেতু ভিতর থেকেই বন্ধ ছিল তাই এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। যদিও পুলিশের তরফে এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলা হয়নি। যদিও আত্মহত্যা করে থাকেন তিনজনই, তাহলে তার পিছনে কী কারণ, সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁদের তরফে।