গতবারের থেকে বেশি ব্যবধানে কলকাতা পুরভোটে জয়ী রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে এককভাবে ১৩৪টি আসন পেয়েছে তারা। ৩টি আসন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। বাম ও কংগ্রেস পেয়েছে ২টি করে আসন।
এই নির্বাচনে জেতার পর তৃণমূল কংগ্রেস টানা তৃতীয়বারের জন্য কলকাতা পুরসভা দখল করতে চলেছে। এবার তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীদের ধরাশায়ী করলেও বিজেপির মুখে হাসি ফুটিয়েছেন মীনাদেবী পুরোহিত, সজল ঘোষ এবং বিজয় ওঝা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এমন সবুজ ঝড়ে বিজেপির পক্ষে ৩টি আসন পাওয়া বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল। তবে মীনাদেবী পুরোহিতরা কার্যত অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন।
আরও পড়ুন : ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকেও ৩ গুণ তাড়াতাড়ি ছড়ায় Omicron!
কোন অঙ্কে মীনাদেবী ও সজল জিতলেন?
মীনাদেবী পুরোহিত : TMC-র সুনামির মধ্যেও ষষ্ঠবারের মতো কাউন্সিলর পদে জয়ী বিজেপির মীনাদেবী পুরোহিত। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই জয়ের পিছনে দলের থেকেও তাঁর ব্যক্তিগত ক্যারিশমা কাজ করেছে। এলাকার ভোটারদের সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন ও তাঁদের পাশে দাঁড়ান।
মীনাদেবী পুরোহিত গত ২৫ বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। জোড়াসাঁকো বিধানসভা আসন থেকেও একবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মীনাদেবী পুরোহিত কলকাতার ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন। এই এলাকার ৭০ শতাংশ ভোটার ব্যবসায়ী। বড়বাজারকে বিজেপির শক্তঘাঁটি বলেও মনে করা হয়।
আরও পড়ুন : বিধানসভার জ্বালায় প্রলেপ! পুরভোটে ২টি করে আসন বাম-কংগ্রেসের
বিজয় ওঝা ও সজল ঘোষ
২৩ নম্বর ওয়ার্ডটিও বড়বাজারের অধীন। ওই এলাকা থেকেই জিতেছেন বিজয় ওঝা। সজল ঘোষও শেষ হাসি হেসেছেন। আসলে সজল ঘোষের বাবাও রাজনীতিতে রয়েছেন। তাঁর বাবার ব্যক্তিগত কাজ ও পরিচয়ের জেরেই সজল ঘোষ জিতেছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।